আদিবাসীদের বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দিনের পরীক্ষা স্থগিত

পাহাড়ি অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব (বর্ষবরণ) —বিঝু, বৈসু, বিহু, সাংগ্রাই ও চাংক্রান—উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মিডটার্মসহ সকল পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং প্রশাসনের অনুমোদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “আদিবাসী শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপনের সুযোগ করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিডটার্মসহ সকল ধরনের পরীক্ষার কার্যক্রম চারদিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সময় সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।”
প্রসঙ্গত, বিঝু, বৈসু, বিহু, সাংগ্রাই ও চাংক্রান হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, খুমি, লুসাইসহ বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ ও সামাজিক মিলনমেলা। এই উৎসবগুলো মূলত বৈসাবি নামে পরিচিত এবং প্রতিবছর এপ্রিল মাসে তিন দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উল্লেখিত উৎসবের দিনগুলোতে পরিক্ষা না রাখার জন্য বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আবেদন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, এই উদ্যোগ তাদের সংস্কৃতি রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।