জিয়াউর রহমানকে ‘বিতর্কিত ব্যাক্তি’ বলায় নোবিপ্রবি ছাত্রদলের প্রতিবাদ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক প্রশাসনের একটি চিঠিতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘বিতর্কিত ব্যক্তি’ বলা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। বুধবার (২৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে প্রকাশিত একটি অফিস আদেশে স্বাধীনতার ঘোষক ও মুক্তিযুদ্ধের বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘বিতর্কিত’ বলা হয়। ছাত্রদলের দাবি, এ ধরনের মন্তব্য শুধু একজন মহান ব্যক্তিত্বের নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতীয়তাবাদী আদর্শ এবং লক্ষ লক্ষ দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি অবমাননার শামিল।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, এক শান্তিপূর্ণ দোয়া মাহফিল আয়োজনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের ইমামকে শোকজ করা হয়েছে, যা ধর্মীয় অনুভূতিরও অবমাননা। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রদলের নেতারা চারটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো:
দাবি সমূহ:
১. শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘বিতর্কিত’ বলার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. মানহানির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারকে বাদী করে তৎকালীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
৩. মসজিদের ইমামের প্রতি জারিকৃত শোকজ আদেশ প্রত্যাহার করে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে।
৪. ভবিষ্যতে এ ধরনের বক্তব্য যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো দপ্তর থেকে প্রকাশ না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, উত্থাপিত দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।