কৃষকলীগ নেতার নেতৃত্বে বিএনপি কর্মীকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ

ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বয়াতি বাড়ির বাসিন্দা বিএনপি কর্মী মোঃ বেলাল (৩০) কে শম্ভুপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ রফিকের নেতৃত্বে আরিফ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ জুবায়ের, নুরুল ইসলাম, জাকির, নিরব, জাহাঙ্গীর ও ইমন মঙ্গলবার বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটের সময় বাসেরহাট বাজারের ব্রিজের উপর থেকে অপহরণ করে একই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে সঙ্গবদ্ধভাবে বেদরক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ৯৯৯ ফোন দিলে তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহব্বত খান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তাকে উদ্ধার করে। তাকে উদ্ধারের সময় উল্টো তাকে ফাঁসানোর জন্য গ্রাম পুলিশ নাছির চৌকিদার এর সহায়তায় অবৈধ মাদকদ্রব্য দিয়ে পুলিশের ধরিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করে। তজুমদ্দিন থানার বার প্রাপ্ত কর্মকর্তার বুদ্ধিমত্তায় তাৎক্ষণিক মাদক দিয়ে ফাঁসানোর বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বেলাল বলেন, হাসান চাপা পিন্টু নিজেকে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক দাবি করে বেশ কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালায়। উক্ত তত্ত্বটি উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় যুবদলকে জানালে কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিক হাসান চাপা পিন্টুকে দল থেকে বহিষ্কার করেন নোটিশ জারি করেন। সেই নোটিশটি অন্যান্য সবার মত আমিও ফেসবুকে পোস্ট করি। এটি আমি কেন ফেসবুকে পোস্ট করেছি এজন্য হাসান চাপা পিন্টুর নির্দেশে কৃষক লীগের সভাপতি রফিকের নেতৃত্বে আমাকে অপহরণ করে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপরে নির্মমভাবে অত্যাচার করে। এক পর্যায়ে আমি ৯৯৯ ফোন করিলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে বাড়ির দরজার বাহিরে আর বের হয় না। কে বা কারা কি করেছে আমি কিছুই জানিনা তবে ঘটনাটি আমি শুনেছি।
মাদক দিয়ে ফাঁসানোর বিষয় নাছির চৌকিদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নুরুল ইসলাম একটি মাদকের পোটলা নিয়ে এসে আমাকে বলে এটি বেলালের কাছে পেয়েছে। তিনি সরাসরি বেলালের কাছে কোন মাদকদ্রব্য পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে কোন ধরনের মাদকদ্রব্য তার সাথে পাননি বলে জানা।
এ বিষয়ে হাসান চাপা পিন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আজকে মাত্র ঢাকা থেকে এসেছি। এরকম একটি ঘটনা আমি শুনেছি। তবে কে বা কাহারা বা আসলে প্রকৃত ঘটনা কি কিছুই আমি এখনো জানিনা।
এ বিষয়ে তজুমুদ্দিন থানা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হাওলাদার বলেন, বেলাল নামে বিএনপির এক কর্মীকে অপহরণের ঘটনাটি গতকাল সন্ধ্যা আমরা শুনেছি। তবে কে বা কাহারা করেছে বিষয়টি এখন আমরা জানতে পারিনি।
তজুমুদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত খান বলেন, বেলাল একটি ওয়ারেন ভুক্ত মামলার আসাম। দীর্ঘদিন ঢাকায় পলাতক ছিল। এলাকায় আশায় রফিক সহ অন্যান্যরা তাকে ধরে থানায় নিয়ে আসতে চায়। প্রতিমধ্যে আমরা জানতে পারি তিনি জামিনে রয়েছেন। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যতীত অন্য কেউ এভাবে কাউকে উঠিয়ে নিয়ে আসতে পারে কিনা বা এর কোন অনুমতি তারা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এ ধরনের কোন অনুমতি কাউকে দেননি বলে জানা।