স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে দুই বছর পর ভাবিকে হত্যা করে মাসুদ

রাজধানীর কমলাপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে ভাবিকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি দেবর মাসুদ হাওলাদারকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার দুই বছর পর ভাবিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন বলে মাসুদ র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন।
র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া জানান, গত ৬ এপ্রিল বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণ কমলাপুরের কবরস্থান গলিতে পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে নিজ বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে পরিকল্পিতভাবে ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি ব্যাপকভাবে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ নিয়ে মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বিষয়টি র্যাব-৩ এর নজরে এলে গোয়েন্দা টিম মাঠ পর্যায়ে তাৎক্ষণিকভাবে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে র্যাব-৮ এর একটি দলকে তথ্য দেওয়া হয়। পরে র্যাব-৩ এর তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮ ও পুলিশের একটি দল শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন ১নং ওয়ার্ড শান্তিনগর এলাকায় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টায় অভিযান পরিচালনা করে মাসুদ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মাসুদ জানান, দুই বছর আগে পারিবারিক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়া-বিবাদ হয়। পরে আর কোনো ঝগড়া বিবাদ হয়নি।
ভুক্তভোগী তার খালা শাশুড়ির বাসা থেকে আইডি কার্ড ও ছবি নিয়ে নিজ বাসায় ফেরার পথে মাসুদ জানতে পেরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকেন। দক্ষিণ কমলাপুরে কবরস্থান গলির সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভুক্তভোগী ভাবিকে ধারালো ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করেন। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে স্থানীয় লোকজন ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এলাকায় জানাজানির পর আত্মগোপন করেন মাসুদ। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।