নেত্রকোনায় হেফাজত নেতাকে মারধর ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি

নেত্রকোনায় মাদ্রাসা সুপারকে মারধর এবং হেফাজতে ইসলামের নেতার বাড়িঘরে হামলা ও মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে রেনু মিয়াকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চিকিৎসক মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীর যৌথ স্বাক্ষরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু।
অব্যাহতি পাওয়া আবুল কালাম আজাদ সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ছোট গরদী গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীরা হলেন গরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবদুল খালেক খান এবং মৌগাতী ইউনিয়ন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ গরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি না হতে পেরে গত মঙ্গলবার দুপুরে তিনি তাঁর লোকজন নিয়ে মাদ্রাসায় সুপারের কক্ষে যান। পরে সুপারকে টেনেহিঁচড়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন এবং চাঁদা দাবি করেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন বুধবার দুপুরে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা মানববন্ধন করে। সেখানে মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র ও হেফাজতে ইসলামের নেতা আনিসুর রহমান বক্তব্য দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় আবুল কালাম ও তাঁর ছেলে লোকজন নিয়ে আনিসুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে মারধরসহ ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এসব ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষই স্থানীয় হাটখলা বাজারে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।
এ নিয়ে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা কমিটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে গতকাল রোববার আবুল কালাম আজাদকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।