এস এস সি পরীক্ষার হল পরিদর্শনে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি

শরীয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এস এস সি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সখিপুরের আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির হল পরিদর্শন কালের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এস এস সি বোর্ড পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শনের এমনই একটি পোস্ট পাওয়া গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেকবুকে।
উপজেলা প্রশাসনের দাবি পরীক্ষা শুরুর পরে বহিরাগত কারে পরীক্ষা হলে ঢোকার অনুমতি নেই। জানা যায়, ইমরান সরকার সখিপুরের আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দ্বায়ীত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি সখিপুর বিএনপি র রাজনিতির সাথে জড়িত আছেন।
ইমরান সরকার নামের একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার এস এস সি বোর্ড পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরে এই পোস্টটি আপলোড দেওয়া হয়।পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে শুরু হয় নানা সমালোচনা।
ইমরান সরকার ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে '' সখিপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৫ সনের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের হল পরিদর্শনের সময়।আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীসহ সকল এস এস সি ও সম মানের পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভ কামনা রইলো।'' এমন ক্যাপশনে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়।সে পোস্টে দুপুর পর্যন্ত ৮৫২ টি রিয়েক্ট এবং ২০১ টি কমেন্ট এবং ৪০ টি শেয়ার হয়েছে।সেখানে কমেন্টে গিয়ে দেখা যায়, শাহিন আহম্মেদ নামের একজন লিখেছেন '' প্রশ্নের উত্তর বলে দিয়েছিস? '' । এছাড়াও রবিউল খুসবু নামের একজন কৌতুহল নিয়ে লিখেছেন '' আপনাকে পরীক্ষা কালিন ঢুকতে দিলো কি ভাবে ''। এছাড়াও দিন ইসলাম নামের একজন লিখেছেন ''স্কুল কমিটির সভাপতি কি কোন পরীক্ষা হল পরিদর্শনের ক্ষমতা রাখে? মানে আমার জানা নাই, তাই বলছি! এই আইন কত সালে চালু হয়েছে, ভাইয়া? ''
হল পরিদর্শনের বিষয়ে জানার জন্য ইমরান সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি বিএনপির রাজনিতির সাথে জড়িত। আমি সকালে সখিপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা চালু হওয়ার আগে তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকার করতে গিয়েছিলাম। আমি জানিনা এটা আমার ঠিক হয়েছে নাকি ভূল।
এবিষয়ে ভেদেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিদ্র্য মন্ডল বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এমন কোন অনুমতি নেই। যদি কেউ গিয়ে থাকে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।