প্রেমের ফাঁদে যুবক, পরিত্যক্ত ঘরে ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়া হলো যুবকের পুরুষাঙ্গ

নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় পারভেজ মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন এক তরুণী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে পরস্পরবিরোধী অভিযোগ উঠেছে।
আহত পারভেজ বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তরুণীর দাবি, তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন পারভেজ ও তার বন্ধু। আত্মরক্ষার্থে তিনি ব্লেড দিয়ে পারভেজের পুরুষাঙ্গে আঘাত করেন। তবে পারভেজের পরিবারের অভিযোগ, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে ওই তরুণী ও তার সঙ্গীরা পারভেজকে কৌশলে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।
আহত পারভেজ পূর্বধলার ত্রিমোহনী এলাকার আব্দুল মন্নানের ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং সদর ইউনিয়নের তারাকান্দা গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে পূর্বধলা বাজারে একটি লেপ-তোষকের দোকানে কাজ করতেন।
তরুণীর বয়স ২২ বছর। তিনি পূর্বধলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং একটি মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে পূর্বধলা উপজেলার রাজধলা বিলের পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে। সেখান থেকেই স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় পারভেজকে উদ্ধার করে প্রথমে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সোহেল রানা জানান, আহত যুবকের পুরুষাঙ্গের প্রায় ৫০ শতাংশ কেটে গেছে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তরুণী বলেন, পূর্বধলার বাজারের সোনালী স্টোরের কর্মচারী জাহিদ নামে এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সোমবার জাহিদের ডাকে তিনি বাজারে যান। পরে জাহিদ ও তার বন্ধু পারভেজ তাকে রাজধলা বিলের পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তখন আত্মরক্ষার্থে তিনি ব্যাগে থাকা ব্লেড দিয়ে পারভেজকে আঘাত করেন।
অন্যদিকে পারভেজের পরিবারের দাবি, দোকান থেকে ফেরার সময় কয়েকজন তরুণ তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়েই পারভেজের উপর হামলা চালানো হয়। তরুণীও সেখানে উপস্থিত ছিল এবং পুরো ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত।
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল আলম বলেন, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তবে এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।