বাগেরহাট শিক্ষা অফিসের সহকারীর কয়েক কোটি টাকার সম্পদ

মাত্র ১৫শ টাকা বেতনে দারোয়ান হিসেবে চাকরি শুরু করেছিলেন মো. মনিরুল ইসলাম। ১৯ বছরের চাকুরী জীবনে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন তিনি। শহরের পিসি কলেজ রোডে কোটি টাকা ব্যয়ে গড়া চারতলা বাড়ি, মুনিগঞ্জ ও গোটাপাড়ায় ৮৯ শতক জমি, ব্যাংকে রয়েছে বিপুল অংকের টাকা রয়েছে তার।বাগেরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক (সাবেক দারোয়ান) মো. মনিরুল ইসলাম যেন আলাদিনে চ্যারাগ পেয়েছেন।
আলোচিত মনিরুল ইসলাম মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাংগা গ্রামের আব্দুল হামিদ শেখের ছেলে।
এদিকে অফিস সহায়ক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয় বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাধ্যমিক পর্যায়ের কিছু শিক্ষক। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে তারা মানববন্ধন স্থগিত করে স্থান ত্যাগ করেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায়, ২০০৪ সালে বাগেরহাট সরকারি বালক বিদ্যালয়ে মাত্র ১৫০০ টাকা বেতনে দারোয়ান হিসেবে চাকরি শুরু করেন মনিরুল ইসলাম।এরপর বদলি হয়ে নানা অফিস ঘুরে ২০০৬ সালে জেলা শিক্ষা অফিসে যোগ দেওয়ার পর থেকে ভাগ্য খুলে যায় তার। অভিযোগ রয়েছে, এই অফিসে দীর্ঘদিন থেকে অফিসার ও শিক্ষক সমাজের উপর তৈরি করেছেন প্রভাব।
মেফতা উদ্দিন নামের এক শিক্ষক বলেন, টাকা ছাড়া শিক্ষা অফিসের ফাইল নড়ে না। আর ফাইল নড়াতে হলে মনিরুলদের কাছে ধর্ণা দিতে হয়। তার হাত ভরলেই কাগজে গতি আসে। এমন অভিযোগ মানববন্ধন করতে আসা আরও কয়েক শিক্ষকের। শিক্ষকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নিয়ে বিপুল সম্পদের মালিখ হয়েছেন মনিরুল এমন অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, পৈত্রিক ৯ কাঠা জমিতে চাষাবাদ করি। সেই আয় ও পরিশ্রমের কারণেই এ অবস্থানে এসেছি।
বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম সাইদুর ইসলাম বলেন, অফিসের কর্মচারীরা কে কি ভাবে অর্থ বৈভবের মালিক হয়েছে, তা তিনি জানেন না। তবে কেউ যদি অভিযোগ করেন তা হলে ব্যবস্থা গ্রহন ক