তবুও বেঁচে আছি, ছাত্রদল নেতা শামীম

বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জেল-জুলুম ও মামলা-হামলার শিকার হয়ে বহুদিন ঘরছাড়া ছিলেন জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামীম হোসেন মন্ডল। একাধিক মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে জেলে গেছেন বহুবার। মামলা হামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে বাবার অন্তিম মুহূর্তেও উপস্থিত হতে পারেননি। তবুও দলের আদর্শ থেকে সরে দাঁড়ায়নি কখনো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে মাঠে ছিলেন মিছিল, মিটিংয়ের সম্মূখ যোদ্ধা হিসেবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক শামীম হোসেন মন্ডল আগামী পাঁচবিবি পৌরসভা নির্বাচনে একজন মেয়র প্রার্থী। সেই লক্ষ্যে ছাত্রদলের উদীয়মান এই নেতা দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে উঠান বৈঠক ও বিএনপির দলীয় কর্মসূচী যথাযথ ভাবে পালন করে আসছে। গত ৫ই আগস্ট সৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর শামীম হোসেন পাঁচবিবিতে আলোচনায় উঠে এসেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কুশল বিনিময় ও দলীয় কার্যক্রম পালন করায় দিন দিন নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তিনি।
জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামীম হোসেন মন্ডল বলেন, বিগত আওয়ামীলীগের সরকারের আমলে মামলা হামলার শিকার হয়ে ঘরছাড়া ছিলাম বহুদিন। দলের দূঃসময়ের মিছিল মিটিংয়ে সব জায়গায় ছিলাম নেতাকর্মীদের সঙ্গে। ৫ই আগস্ট ফ্যাস্টিট সরকারের পতনের পর দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন মিছিল, মিটিং ও জনসভা করেছি। আগামীতে বিএনপির হাতকে আরো শক্তিশালী করতে পাঁচবিবিতে নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, এসব দলীয় মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করতে গিয়ে অনেকেরই এখন প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেছি। রাজনীতিতে একটা প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে গেছে। দিন দিন আমার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে, সেটা হয়ত অনেকেই মেনে নিতে পারছেনা কেউ কেউ। সবশেষ গত ১লা বৈশাখে সারাদিন নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলীয় কার্যক্রম শেষে শহরের একটি দোকানের সামনে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় ২টি মোটরসাইকেলে ৬ জন এসে আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। 'তবুও বেঁচি আছি' আল্লাহর রহমতে। আগামীতে পাঁচবিবি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র হয়ে পৌরবাসীর সেবা করব এটাই চাওয়া।