নির্মানাধীন সেতুর পাশে ভেঙে যাচ্ছে রাস্তা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের হিলি-শালাইপুর সড়কের কলন্দপুর তুলশীগঙ্গা নদীতে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পর সেতু সংলগ্ন রাস্তার কাজ চলমান। কিছুদিনের মধ্যেই সেতুটির সব কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর আগে কাজ শুরুর দিকে সেতু নির্মাণ কাজ চলাকালে এক পাশের গার্ডার ধসে পড়ে যায় নদীতে। পরে পুনরায় তা নির্মাণ করা হয়। সে সময়ে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বিভাগীয় তদারকির অভাব ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলে সেতু নির্মাণের শুরুর দিকে গার্ডার ধসে পড়েছিল। যদিও সে সময়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাবি ছিল, সেতুটির গার্ডার নির্মাণে ক্রটি দেখা যাওয়ায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সেটি সরিয়ে ফেলতে বললে সেটি সরানোর সময় অসাবধানতাবশত ভেঙে পড়েছিল।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্তমানে সেতুর কাজ প্রায় শেষের দিকে। সেতুর দুইপাশে রাস্তা পাকাকরণের কাজসহ দুধারে ব্লকের কাজ চলছে। রাস্তার দুপাশেই ভেঙে যাচ্ছে। ফাটল দেখা দিয়েছে কিছুদিন আগেই পাকাকরণ হওয়া রাস্তার দুপাশেই সঠিকভাবে রাস্তার কাজ না করার কারনেই রাস্তার দুপাশেই ভেঙে যাচ্ছে।
সেতু এলাকাদিয়ে চলাচলরত পাঁচবিবি পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি ও শিক্ষক মোঃ গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা পাঁচবিবি উপজেলাবাসীর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ এই কলন্দপুর সেতুটি। বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের ঠিকাদাররা এই সেতুর কাজ করছে। শুরুতেই নিন্মমানের পাথর, সিমেন্ট ও বালু ব্যবহারের কারনে সেতুর এক পাশের গার্ডার ভেঙে নদীতে পরেছিল। এখন সেতুর কাজ প্রায় শেষ। রাস্তাও পাকাকরণ হয়েছে। কিন্তু কাজ চলমান অবস্থায় রাস্তার দুপাশেই ভেঙে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
জামায়াত নেতা আরোও বলেন, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত আমাদের এই সেতুর কাজ শুরু থেকে অনিয়ম হওয়ায় সেতুর টেকসই নিয়ে চিন্তত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের এলাকাবাসীর দাবি যথাযথ ভাবে তারা যেন কাজটি করে দেয়।
জয়পুরহাট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানায়, জয়পুরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলি ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতু প্রতিস্থাপন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪ মিটার দৈর্ঘ্যের কলন্দপুরে তুলশীগঙ্গা নদীতে ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। যৌথভাবে সেতুটির নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স এম এন এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
উজেলার শালাইপুর বাজার এলাকায় দেখা হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা একাধিক ব্যাক্তির সঙ্গে। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ ও রাস্তা ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান। এসময় সেতুটি নির্মাণাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ও প্রাক্কলিত ব্যয়ের তথ্য চাইলে অফিসকে দেখিয়ে দেন। প্রাকৃতিক ভাবে ডেবে গেছে এখনো কাজ শেষ হয়নি। ঠিক করে দেওয়া হবে। তারা আরও বলেন, সেতুর বদলে এখানে রাস্তায় পানি জমে আছেন সেই নিউজ করেন।
জয়পুরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, সড়কটি নতুন তৈরী করা হচ্ছে বিধায় এমন হয়েছে। ঠিক করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।