থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্ত

থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে পেতংতার্ন ও কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের ফোনে আলোচিত কথাবার্তা ফাঁসের ঘটনা।
মে মাসে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষের পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তবে পেতংতার্নের ‘আংকেল’ হিসেবে হুন সেনকে উল্লেখ করে অতিমাত্রায় নমনীয়তার কথাগুলো জনমনে বিতর্কের সৃষ্টি করে। এর পর থেকেই তাঁকে পদত্যাগের দাবি করে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
সাংবিধানিক আদালত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ৭-২ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পেতংতার্নের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন। ১৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে উপপ্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের নবীনতম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দেশের প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের সদস্য, যাদের মধ্যে তাঁর বাবা থাকসিন ও ফুপু ইংলাক সিনাওয়াত্রাও দেশ চালিয়েছেন।
দেশে সেনাবাহিনীর প্রভাব দীর্ঘদিন ধরে প্রবল থাকায় সেনাবাহিনী সমালোচনার বিষয়গুলো সেনসিটিভ হিসেবে দেখা হয়। ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় পেতংতার্ন দুঃখ প্রকাশ করলেও রাজনৈতিক চাপের কারণে পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে।