জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে খেলাফত মজলিসের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে খেলাফত মজলিস। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কাদের বলেন, “১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলা অভ্যুত্থান ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এতে খেলাফত মজলিস ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। আমরা শহীদদের মাগফিরাত কামনা করি এবং তাদের ত্যাগ স্মরণে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।”
ঘোষিত কর্মসূচির মূল বিষয়সমূহ:
১. দোয়া মাহফিল: মসজিদ, মাদ্রাসা ও দলীয় কার্যালয়ে শহীদদের জন্য দোয়া।
২. শহীদদের স্মরণ: কবর জিয়ারত, পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, আহতদের সহায়তা।
৩. গণসংযোগ ও আন্দোলন: বিচার দাবিতে মিছিল, আলোচনা সভা ও সমাবেশ।
৪. শিশু-কিশোর আয়োজন: কুইজ, দেয়ালিকা, ভিডিও প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
৫. ১৬ জুলাই: প্রথম শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাৎ দিবসে বিশেষ দোয়া।
৬. সামাজিক কর্মসূচি: বৃক্ষরোপণ, ব্লাড ক্যাম্প, পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
৭. প্রচার: পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, দেয়াললিখন।
৮. ৫ আগস্ট: ‘ফ্যাসিস্ট পতন দিবসে’ ঢাকাসহ সারাদেশে র্যালি ও আলোচনা সভা।
খেলাফত মজলিস আশা প্রকাশ করেছে, জুলাই মাসের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে: সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে ড. কাদের জানান, “আমরা পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই, তবে তা জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে দলের শীর্ষ নেতারা—নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসির আলী, ড. ফয়সল, আবদুল জলিল, জহিরুল ইসলাম ও প্রকৌশলী হাফিজ খসরু উপস্থিত ছিলেন।
