যুদ্ধবিরতির পর সোনার দাম কমেছে বিশ্ববাজারে

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর বিশ্ববাজারে তেলের পাশাপাশি কমেছে সোনার দামও। সাধারণত ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় সোনার মতো নিরাপদ সম্পদের দাম বাড়ে। তবে ১২ দিনের এই সংঘাতে তেমনটা দেখা যায়নি।
১৩ জুন সংঘাত শুরু হলে স্বর্ণের স্পট মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় আউন্সপ্রতি ৩,৪৩৩.৪৮ ডলারে, যা আগের দিনের তুলনায় ১.৪% বেশি। ফিউচার মার্কেটেও দাম গিয়ে দাঁড়ায় ৩,৪৫২ ডলারে।
তবে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ায় এবং দ্রুত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসায় বিনিয়োগকারীরা সোনার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এর জেরে দাম কমে ১৮ জুন নেমে আসে ৩,৩৬৭ ডলারে।
গতকাল (২৫ জুন) স্বর্ণের দাম ছিল আউন্সপ্রতি ৩,৩২৭ ডলার, অর্থাৎ যুদ্ধ শুরুর আগের তুলনায়ও কম।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দাম ৩,৩০০–৩,২৫০ ডলারের মধ্যে থাকলে বেচাকেনা বাড়তে পারে।
মূল্যস্ফীতি ও সুদহারও প্রভাব ফেলছে
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ বছর শেষে ফেড ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমাতে পারে। এতে ডলার দুর্বল হলে সোনার দাম আবার বাড়তে পারে।
ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস
গোল্ডম্যান স্যাকস পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ সোনার দাম পৌঁছাতে পারে আউন্সপ্রতি ৩,৭০০ ডলারে। ২০২৬ সালের মধ্যে তা ৪,০০০ ডলার ছাড়াতে পারে। ব্যাংক অব আমেরিকাও একই পূর্বাভাস দিয়েছে আগামী ১২ মাসের জন্য।
রুপা ও অন্যান্য ধাতুর বাজার
মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার রুপার দাম বেড়ে হয়েছে আউন্সপ্রতি ৩৬.০৫ ডলার। প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৩১৪.৯১ ডলার, প্যালাডিয়ামের দাম কমে হয়েছে ১,০৬১.৯০ ডলার।
দেশের বাজারেও প্রভাব
বিশ্ববাজারের প্রভাবে বাংলাদেশেও কমেছে সোনার দাম। মঙ্গলবার সোনা ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দিয়েছেন, প্রতি ভরিতে দাম কমছে সর্বোচ্চ ১,৬৬৮ টাকা। নতুন দামে ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়াবে ১,৭২,৮৬০ টাকা, যা বুধবার (২৫ জুন) থেকে কার্যকর।
