ভোলা হাসপাতালে চিকিৎসকের উপর হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি

ডাক্তার ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ৬ দফা দাবীতে কর্মবিরতি পালন করে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় ভোলা সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শেখ সুফিয়ান রুস্তমকে। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১১ এপ্রিল জরুরী বিভাগে মাকসুদুর রহমান নামের একজন হার্টের রুগির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাইমুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৬ দফা দাবীতে আজ সকাল থেকে কর্মবিরতী পালন করে তত্ত্বাবধায়ককে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ ঘটনায় দুপুরের দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে এক আলোচনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য ডাক্তার ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিধানের ৬ দফা দাবি গুলো বাস্তবায়নের আস্বাসের প্রেক্ষিতে ডাক্তার ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা স্বাভাবিক কর্যক্রম শুরু করে।
অপর একটি সূত্রে জানা যায়, ১১ এপ্রিল হাসপাতালে এক রুগির মৃত্যুর ঘটনায় পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করতে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের সাথে ভোলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টেস্ট বানিজ্যে জরিত দালাল এবং হাসপাতালে আওয়ামীলীগের নিয়োগপ্রাপ্ত আউট সোর্সিং এর কর্মচারীরা একত্র হয়ে ডাক্তার নাইমুল ইসলামের উপর হামলা করে ও কর্মচাররীদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধামকী দিতে থাকে । এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
এ বিষয়ে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, রোগিদের নূন্যতম সেবা দেয়ার জন্য যে ডাক্তার প্রয়োজন তা না থাকায় চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ডাক্তারদের লাঞ্চিত হওয়ার মত অনাকাংখিত ঘটনা ঘটলে ডাক্তাররা অন্যত্র চলে যাবে। ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত হবে ভোলার মানুষ। হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে ডাক্তার ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিধানের ৬ দফা দাবী পূরনে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাসনাইন পারভেজ জানান, হাসপাতালে সব ধরনের দালাল মুক্ত করতে ও সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।