বরিশালে একদিনে ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিতে দুর্ভোগে জনজীবন, তীব্র জলাবদ্ধতা

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট বৈরি আবহাওয়ায় বরিশালে একদিনে ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে করে শহরের অধিকাংশ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এই বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগের দিনে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৫ মিলিমিটার। সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর এবং নদী বন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও দুই-তিনদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
টানা পাঁচদিনের বৃষ্টিতে শহরের ফসলি জমি, লোকালয় ও সড়ক পানিতে নিমজ্জিত। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের ও কর্মজীবী মানুষ। জলাবদ্ধতার কারণে অনেকেই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন।
নগরীর কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, “প্রতিটি গলিতে পানি জমে আছে। বড় ড্রেন পরিষ্কার করলেও ছোট অলি-গলির ড্রেনের দিকে কারও নজর নেই।”
পলাশপুরের বাসিন্দা বাবুল হাওলাদার বলেন, “বৃষ্টি হয়তো এক সপ্তাহ থাকবে, কিন্তু ভোগান্তি চলবে আরও অন্তত দুই মাস। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি বের হতে পারছে না।”
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, বর্তমানে সাময়িক জলাবদ্ধতার কারণ কীর্তনখোলা নদীর পানি। নদীর উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ড্রেনের পানি নদীতে নামতে পারছে না, বরং উল্টো পানি শহরে প্রবেশ করছে।
তিনি আরও বলেন, “প্রতিদিন পাঁচটি টিমে ১০০ কর্মী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে ভাটারখাল, জেলখাল, লাকুটিয়া খাল ও কুদঘাটা খাল ইতোমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে।” সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং যত দ্রুত সম্ভব জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে।