সিলেটের পাথর লুটপাট: যার কাছে পাথর মিলবে, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা

সিলেটের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র সৌন্দর্য্যের মহিয়ান সাদা পাথর থেকে সম্প্রতি পাথর লুটের ঘটনায় দেশের সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর জেলা প্রশাসক ও থানা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর আওতায় এ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পরিবেশগত অপরাধ সংঘটনপূর্বক আর্থিক লাভ অর্জনের উদ্দেশ্যে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
অন্যদিকে, সাদা পাথর উদ্ধারের কাজ জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অব্যাহত রয়েছে। নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে ১১ লাখ ঘনফুট ইতিমধ্যেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এ কাজে প্রতিদিন অন্তত ৫০০ শ্রমিক, ৪০০ নৌকা ও ৩০০ ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডিএসও জানাচ্ছেন, প্রতিস্থাপনের কাজ শেষ হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। জেলা প্রশাসক আরও জানিয়েছেন, তিন দিনের আল্টিমেটামের পর বুধবার (২৭ আগস্ট) থেকে যার কাছে লুট হওয়া পাথর পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, পরিবেশবিদদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিস্থাপন কার্যক্রম যতটা সম্ভব প্রকৃতির কাছাকাছি সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই ঘটনা দেশের মধ্যে পরিবেশ ও আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত সচেতনতার দিকে নতুন আলো ফেলে দিয়েছে।