ইউএনও'র বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার লংমার্চ ১০ দিনের মধ্যেদাবি আদায়ের আশ্বাস জেলা প্রশাসনের

সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মফিজুর রহমানকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে বৃৃহস্পতিবার ছাত্র-জনতার ব্যানারে লংমার্চ, বিক্ষোভ ও অবস্থান গ্রহণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পরে আগামি ১০দিনের মধ্যে তাঁকে এখান থেকে বদলির আশ্বাসে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মে. রেজাউল করিম। 

এর আগে গত রোববার ইউএনওর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তাঁকে প্রত্যাহারের দাবিতে সচেতন এলাকাবাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়। ওই কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে ছাত্র-জনতার মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। 

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চালবন্দ বাজার এলাকায় ছাত্র-জনতার ব্যানারে লোকজন জড়ো হয়ে সেখান থেকে লংমার্চ নিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবন চত্বরে গিয়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ থেকে সেখানে যান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম আগামি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ইউএনওকে এখান থেকে বদলির ব্যবস্থা করা হবে এমন আশ্বাস দিলে ছাত্র-জনতা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।

আন্দোলনকারী জানান, ইউএনও মফিজুর রহমান গত বছরের ৫ আগস্টের পর নানাভাবে দুর্নীতি, অনিয়মে যুক্ত হয়ে পড়েন। তিনি সীমান্তের চোরা কারবারিদের সুবিধা দিয়ে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করেন। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছেন। তার ব্যাংক হিসেবে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য প্রমাণ আছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন ছাত্ররা।

বৃহস্পতিবার লংমার্চ করে গিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় বক্তব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলার আহবায়ক ইমনদ্দোজা আহমদ প্রমুখ।

ইউএনও মফিজুর রহমান অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কিছু লোক ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। আমি কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি করিনি।

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ছাত্র-জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনওকে এখান থেকে আগামি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বদলির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। একই সঙ্গে ছাত্ররা নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। আমরা তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখব।