সুনামগঞ্জে সনাকের বিতর্ক প্রতিযোগিতা: দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে তারুণ্যের সাহসী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে

সুনামগঞ্জে টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরে সনাক কার্যালয়ের হল রুমে বৃহস্পতিবার এই প্রতিযোগিতা হয়।এতে সনাকের অনুপ্রেরণায় গঠিত তরুণ শিক্ষার্থীদের দুর্নীতিবিরোধী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'ইয়েস গ্রুপ'র সদস্যরা চারটি দলে ভাগ হয়ে ১২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বিতর্কের বিষয় ছিল
'যুব সমাজই পারে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে' এবং 'স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবই দুর্নীতির জন্ম দেয়'।
প্রতিযোগিতায় এই দুটি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীরা পক্ষে, বিপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন। ২০২৪ সালের জুলাই গণআন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে বক্তারা বলেন, তরুণেরা সংগঠিত হলে, সাহস নিয়ে এগিয়ে এলে পরিবর্তন সম্ভব। একটি দেশকে বদলে দিতে পারে সাহসী তারুণ্য। তবে এ জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। দুর্নীতি করব না এই অঙ্গীকার করতে হবে সবাইকে। ঘুষ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। সকল কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এটির অভাব থাকলে দুর্নীতি কমবে না, বরং বাড়বে।
প্রতিযোগিতায় মডারেটর ছিলেন সনাক সদস্য ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে ও সনাক সুনামগঞ্জের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজনীন বেগম।
বিতর্কে অংশ নেন খাদিজা আক্তার মনি, আয়েশা আক্তার মাছুমা, আমজাদ হোসেন ভুঁইয়া, রেহেনা আক্তার, কৃষ্ণকলি মণ্ডল, পারমিতা রায়, অর্চি বনিক দিশা, বর্ণা রানী দাশ, ঋতুরাজ তালুকদার রিম্পল, অর্পিতা তালুকদার রিয়া পার্থ সাহা ও নুসরাত জাহান মৌ।
বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সনাক সদস্য অ্যাডভোকেট আইনুল ইসলাম বাবলু, সাংবাদিক দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী ও মো. রাজু আহমেদ।
সমাপনী আনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ সনাকের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজনীন বেগম, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট খলিল রহমান, টিআইবির এরিয়া ম্যানেজার মো. আরিফুর রহমান। পরে বির্তকে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে বই তুলে দেন অতিথিরা।
সনাক সভাপতি নাজনীন বেগম তাঁর বক্তব্যে বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে। তারুণ্যের সাহসী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। দুর্নীতি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি, সুশাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে প্রধান অন্তরায়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন