যে ৫টি কথা বলে নিজের অজান্তে সম্পর্কের বারোটা বাজাচ্ছেন

একটা সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার মুখের কথা। কেবল কথা দিয়েই আপনি অনেক বড় সমস্যার সমাধান করতে পারেন। আবার এই কথার মাধ্যমেই আপনি সম্পর্কের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারেন। চট করে জেনে নেওয়া যাক, কী সেই পাঁচটি কথা, যেসব আমরা বলে ফেলি আর তার প্রভাবে নিজের অজান্তেই সম্পর্কে দূরত্ব কিংবা ফাটল তৈরি হয়।
১. তুমি তো এ রকমই
অনেক সময় সঙ্গী কোনো ভুল করলে আরেকজন এ কথাটি বলে ফেলেন। এতে সঙ্গী আহত হন। ভুল শোধরানোর অনুপ্রেরণা হারিয়ে ফেলেন। সম্পর্কের মধ্যে জায়গা করে নেয় নেতিবাচক এনার্জি।
২. তুমি কেন ‘এইটা’ করো না, ‘ওইটা’ করো না
এ কথার ভেতর দিয়ে আপনি সংসারে ‘ব্লেম গেম’ ঢুকিয়ে দিলেন। আপনার সঙ্গীকে ‘তুমিও তো ওইটা করতে পারতে’ বলে আদতে কোনো সমাধান হয় না। আপনারা দুজনে মিলে আসলে একটা দল। তাই বলতে পারেন, ‘চলো, আমরা বরং দুজনে মিলে কাজটা করি।’
৩. কিছু হয়নি বা কিছু না
নিশ্চিতভাবেই কিছু একটা হয়েছে। মুখ দেখে, শরীরী ভাষায় বা হাবভাব দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সঙ্গী যখন জানতে চাইছে, ‘কী হয়েছে?’ আপনি বলছেন, ‘কিছু না!’ এর মাধ্যমে আপনি সঙ্গীকে দূরে ঠেলে দিলেন। নিজেদের আবেগীয় নির্ভরতার জায়গায় আঘাত হানলেন।
৪. আমি তো এ রকমই
কথাটি আপনার কাছে নিরীহ বা অহিংস মনে হলেও এর ভেতর দিয়ে আপনি সঙ্গীকে জানিয়ে দিলেন যে আপনি বদলাতে রাজি নন। এ কথার ভেতর দিয়ে আপনি একটা অদৃশ্য দেয়াল তুলে দিলেন। অথচ একটা সম্পর্ক দুজনের প্রতিনিয়ত ভুল শুধরে নেওয়ার আন্তরিকতা ও ত্যাগের ভেতর দিয়ে শক্তশালী হয়।
৫. অমুক এ রকম করত
সম্পর্কে এর চেয়ে বড় রেড ফ্ল্যাগ আর হয় না! সঙ্গীকে সাবেক বা অন্য কারও জীবনসঙ্গীর সঙ্গে তুলনা করা রীতিমতো মানসিক নির্যাতন, ঘৃণ্য অপরাধ। প্রত্যেক মানুষই আলাদা। সঙ্গীর স্বকীয়তা বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতার প্রশংসা করুন। দাম্পত্যসঙ্গী হিসেবে দুজন দুজনের সেরাটা দিয়ে সম্পর্কটাকে এগিয়ে নিন।
সূত্র: এমএসএন
