কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু: প্রথম ধাপের সফল যাত্রা

কুষ্টিয়াবাসীর বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্বল্প পরিসরে চালু হলো কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সেবা কার্যক্রম। আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই আজ সোমবার সকালে মেডিসিন ও শিশু বিভাগে প্রথম দফায় ৯০টি শয্যায় রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। এভাবেই নিরবে-নিভৃতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো জেলার চিকিৎসাসেবায়।
হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ডা. আনোয়ারুল কবীর বলেন, "প্রথম ধাপে আমরা সীমিত পরিসরে মেডিসিন ও শিশু বিভাগ চালু করলাম। ধাপে ধাপে পূর্ণাঙ্গ সুবিধা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।"
ডা. রিজওয়ানুর রহমান জানান, "কুষ্টিয়ার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের পথে আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। ৫০০ শয্যার পরিকল্পনায় গড়ে ওঠা এই হাসপাতালের পূর্ণ কার্যক্রম চালু করতে সকল প্রস্তুতি দ্রুতই এগিয়ে নেয়া হবে।"
এদিকে নতুন ভবনে স্থানান্তরিত রোগীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে আসা আমজাদ হোসেন বলেন, "চিকিৎসার পরিবেশ আগের চেয়ে ভালো। তবে ওষুধ ও খাবার এখনো বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। আশা করি দ্রুত এই বিষয়গুলোর সমাধান হবে।"
অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতারা এই উদ্যোগকে কুষ্টিয়ার উন্নয়নের মাইলফলক হিসেবে দেখছেন। কুষ্টিয়া বিএনপির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার বলেন, "অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ আমরা প্রথম ধাপে সেবা শুরু করতে পেরেছি। এটি কুষ্টিয়াবাসীর জন্য বড় সাফল্য। ভবিষ্যতে হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম বাস্তবায়নে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।"
এখনও পুরোপুরি চালু না হলেও, এই সীমিত আবাসিক সেবার মাধ্যমে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, দ্রুতই এই হাসপাতাল হয়ে উঠবে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের অন্যতম প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র।