কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সেনা অভিযান ওষুধ জব্দ, এক চিকিৎসকসহ আটক ৩

কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। এসব চোরাই ওষুধসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ওষুধ চুরিতে সহায়তা করার সন্দেহে এক চিকিৎসককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে অভিযানটি চালানো হয়।
আটককৃতরা
হলেন, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট এরাকার মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে
হামিদুল হক ও সদর উপজেলার পাটেশ্বরী এলাকার হানিফ আলীর মেয়ে হামিদা বেগম। আটক চিকিৎসকের
নাম ডা. ওবায়দুল হক। তিনি ওই হাসপাতালের ইউনানী মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত রয়েছেন।
ডা. ওবায়দুল হকের স্বাক্ষর করা ৫০টি ওষুধ উত্তোলনের স্লিপ পাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য নেয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর
কুড়িগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফায়াত হোসেন জানান, গোপনে সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে
অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এ সময় একজন পুরুষ ও একজন নারীর কাছে ৯৬৫টি সরকারী বিভিন্ন
ট্যাবলেটসহ আটক করা হয়।
স্থানীয়রা
জানান, সরকারি ওষুধগুলো তারা অন্যত্র বিক্রি করার উদ্দেশ্যে তুলেছে। তাদের সাথে হাসপাতালের
লোকজন জড়িত রয়েছে। প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। অভিযানে হাসপাতালের এক চিকিৎসকের ইস্যু করা
৫০টি ওষুধ নেয়ার স্লিপ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এসব স্লিপ দিয়েও ওষুধ উত্তোলন করা হতো।
একসঙ্গে এতা স্লিপ থাকার কথা নয়। বিক্রির উদ্দেশ্যে এসব স্লিপ দেয়া হতে পারে বলে ধারণা
করা হচ্ছে। চিকিৎসকসহ আটক প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান সেনাবাহিনীর এ
কর্মকর্তা।
কুড়িগ্রাম
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন জানান, হাসপাতালে জনবল সংকট
থাকায় ওষুধ চুরির ঘটনা রোধ করা যাচ্ছেনা। তবে আরও সচেতন হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওষুধ
চুরির সাথে আর কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।