বিপ্লবের নগরীতে জুলাই পদযাত্রায় জনতার ঢল: বলছেন আখতার হোসেন

‘দেশগঠনে জুলাই পদযাত্রা’য় বিপ্লবের নগরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢল নেমেছে বিপ্লবী জনতার—এভাবেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজপথে লাখো মানুষের উপস্থিতিকে ব্যাখ্যা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরজুড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আয়োজনে দেশের চলমান সংকট, ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা এবং গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশাল পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নারী, পুরুষ, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
পদযাত্রার শুরুতে আখতার হোসেন বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়া এই দেশের বিপ্লবের সূতিকাগার। ১৯৭১ হোক কিংবা ২০১৩—এখানে বারবার ইতিহাস তৈরি হয়েছে। আজকের এই জনজোয়ার প্রমাণ করে, মানুষ আর চুপ করে থাকতে চায় না।”
তিনি আরও বলেন, “এই জুলাই পদযাত্রা কোনো দলের নয়, কোনো গোষ্ঠীর নয়—এটি গণমানুষের আন্দোলন। আমরা জনগণের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।”
এর আগে সকালে আখতার হোসেন ও এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শহরের সার্কিট হাউজে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর ট্রাজেডিতে নিহত শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিহতদের স্বীকৃতি দাবি করেন এবং বলেন, “শহিদদের রক্ত বৃথা যাবে না। ইতিহাস একদিন তাদের প্রকৃত সম্মান ফিরিয়ে দেবে।”
বেলা ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেয় বিভিন্ন ইসলামী দল, ছাত্র সংগঠন, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, শ্রমজীবী ও নিম্নবিত্তের প্রতিনিধিরা।
সামগ্রিকভাবে পদযাত্রাটি ছিল শান্তিপূর্ণ ও গণমুখী। দলীয় পতাকা না থাকলেও সর্বত্র জাতীয় পতাকা এবং “ন্যায়বিচার চাই”, “নির্বাচন চাই জনগণের” ইত্যাদি ব্যানার-প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে।