ইবি শিক্ষার্থী হত্যার বিচার দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহকে শ্বাসরোধে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘রাবিস্থ মিল্লাত পরিবার’ ব্যানারে এ দাবি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘ইবিতে ছাত্র মরে, প্রশাসন কি করে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘ইবিতে হত্যা কেন, ইন্টারিম জবাব চাই’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাজিদ হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘সাজিদ আবদুল্লাহ তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি কোরআনে হাফেজ, সাংস্কৃতিক কর্মী ও জুলাই বিপ্লবের প্রথম সারির যোদ্ধা ছিলেন। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও ইবি প্রশাসন এখনও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি—এটা প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা। সাজিদ কখনো একা কোথাও যেতেন না, অথচ তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা দ্রুত বিচার দাবি করছি।’
রাবিস্থ মিল্লাত পরিবারের সাধারণ সম্পাদক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে একজন শিক্ষার্থী হত্যার ১৫ দিন পার হলেও ইবি প্রশাসন কোনো অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ নিতে পারেনি—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যদি বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীরা নিরাপদ না থাকে, তবে কোথায় থাকবে? দিনে-দুপুরে হত্যা করা হলেও প্রশাসন শুধু টালবাহানা করছে। আমরা দ্রুত বিচার চাই এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত সকলের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে সারাদেশের মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।’
এ সময় স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন বলেন, ‘সাজিদ আবদুল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থী এভাবে প্রাণ না হারায়। প্রশাসন যদি সুষ্ঠু তদন্তে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ইবির শাহ আজিজুর রহমান হলসংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদ আবদুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গতকাল রবিবার (৩ আগস্ট) ফরেনসিক প্রতিবেদনে সাজিদ আবদুল্লাহকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে—এমন তথ্য উঠে এসেছে।