শাপলা চত্বরে নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি এনসিপির

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানী ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে নিহতদের ‘রাষ্ট্রীয় শহিদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ওসমানিয়া মাদরাসায় হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই দাবি জানান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন দলের উত্তরাঞ্চলীয় সংগঠক সারজিস আলম।
সাক্ষাতের সময় আখতার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ এবং শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে গোপালগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৬০০ একর জমি জবরদখল করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, এই দখলদারিত্ব শুধু সম্পত্তি লুটের ঘটনা নয়, বরং এটি বাংলাদেশের ধর্মীয় সহনশীলতা ও সংখ্যালঘু অধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ নজির।
এ দিন ‘জুলাই পদযাত্রা’র ২৪তম দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্কিট হাউজে ২০১৩ সালের ঘটনার শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
তাদের সঙ্গে ছিলেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা, যারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচার ও স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
পরে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজ থেকে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, যা শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। এতে শাপলা চত্বরে নিহতদের স্মরণে ব্যানার, কালো পতাকা ও শহিদ তালিকা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়।
প্রেক্ষাপট
২০১৩ সালের ৫ মে, রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গভীর রাতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় বহু প্রাণহানি হলেও সরকারিভাবে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। হেফাজত দাবি করে, শতাধিক সমর্থক নিহত হয়।