আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারতে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা

বাংলাদেশ-ভারতের অসম চুক্তি ও পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে নৃশংসভাবে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত আবরার ফাহাদের কবরস্থানে গিয়ে তারা শ্রদ্ধা জানান এবং ফাতেহা পাঠ করেন।
এরপর তারা আবরারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ও মা রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচারের অগ্রগতি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন নেতারা।
এরপর দুপুর ১টা ২৮ মিনিটে কুষ্টিয়া শহরের উদ্দেশে রওনা হন তারা। কুষ্টিয়ায় পদযাত্রা ও পথসভা শেষে রাতেই মেহেরপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার, নতুন সংবিধানের প্রণয়ন ও জনতার প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সারা দেশে ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার রাত ১০টায় পাবনায় পথসভা শেষে নেতারা কুষ্টিয়া শহরে পৌঁছান এবং রাত যাপন করেন।
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা, তাদের মধ্যে ছিলেন: নাহিদ ইসলাম, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক, সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক, আখতার হোসেন, সদস্য সচিব, ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব, সারজিস আলম, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, হাসনাত আবদুল্লাহ, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, মুখ্য সমন্বয়ক, কেন্দ্রীয় সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবস প্রমুখ
এছাড়াও দলটির অঙ্গ সংগঠন যুব শক্তি ও শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের আবাসিক কক্ষে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে আবরার ফাহাদকে।
মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠে। মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০২১ সালের রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।