সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে পিবিআই পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই পুলিশ। নিহত নারীর নাম সুফিয়া খাতুন (৩৪)। তিনি জেলার ফুলপুর উপজেলার পাতিলগাঁও গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃত রোহান জেলার তারাকান্দা উপজেলার মো. আলাল মিয়ার ছেলে।
রবিবার (৬ জুলাই) বিকালে জেলা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিশন (পিবিআই) জেলা পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহত সুফিয়া খাতুন গত ২৯ জুন ছাগল বিক্রি করতে তারাকান্দা বাজারে যায়। এরপর থেকে ওই নারী নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই থানায় সাধারণ ডায়েরী করে করেন। পরে গত ৩ জুলাই সকাল ১০ টার দিকে তারাকান্দা উপজেলার তাকনী দাদরা গ্রামে একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পঁচা গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা তারাকান্দা থানায় খবর দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তারাকান্দা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার পর আজ রবিবার পিবিআই পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জেলার ফুলপুর উপজেলা ফুলপুর বেপারী পাড়া এলাকা থেকে রোহানকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর রোহান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, হত্যার স্বীকার সুফিয়ার সাথে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল রোহানের। গত ২৯ জুলাই ওই নারী তারাকান্দা বাজারে ৪ হাজার টাকায় ছাগল বিক্রি করে রোহানের সাথে দেখা করে। পরে রোহান বিভিন্ন অজুহাতে সুফিয়াকে নিয়ে উপজেলার বেশ কিছু জায়গায় ঘোরাফেরা করে। ঘোরাফেরা পর রোহান কাকনী ইউনিয়নের দাদরা গ্রামের গেসু মিয়ার পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে সুফিয়াকে জোড়পুর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সুফিয়া রোহানের গালে চড় মারে। এতে রোহান ক্ষিপ্ত হয়ে সুফিয়ার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ গুম করার জন্য পাশেই পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখে এবং ৪ হাজার টাকা ও সুফিয়ার মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় রোহান। পরে রোহানের দেখানো মতে সুফিয়ার মোবাইল জব্দ করে।
জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রোহানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা জানতে তদন্ত চলছে।