Times Today
অনুসন্ধান করতে টাইপ করুন
কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি

সন্তানকে অতিমাত্রায় শাসন করে তার বিপদ বাড়াচ্ছেন না তো

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট
২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:২৭
সন্তানকে অতিমাত্রায় শাসন করে তার বিপদ বাড়াচ্ছেন না তো

এ কথা সবাই মানবেন, এখনকার শিশুরা আগের তুলনায় অনেক বেশি স্মার্ট, বেশি বুদ্ধিমান। আমাদের শৈশব-কৈশোরের তুলনায় তো বটেই। ছোটবেলায় আমরা ইন্টারনেট পাইনি। এত সব টিভি চ্যানেল আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল না। ফলে আমাদের তুলনায় তাদের পৃথিবীটা বড়। তাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা আর আত্মসম্মানবোধও অনেক বেশি।

বেশি শাসনে যা হতে পারে

আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন কোনো ভুল করলে মা-বাবা, বড় ভাই-বোনের কাছে বকা বা মার খেয়েছি। আবার মন খারাপ করে চোখের পানি মুছে নিজেরাই স্বাভাবিক হয়ে যেতাম। কিন্তু এখনকার শিশু-কিশোরদের অতিমাত্রায় বকা বা শাসন করলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।

এখনকার অনেক অভিভাবকও অবশ্য সন্তানের খাওয়া, লেখাপাড়া, সৃজনশীল কাজ নিয়ে অতিমাত্রায় শাসন করেন। অনেকের ধারণা, মুঠোফোন, ভিডিও গেম, কার্টুনের যুগে সন্তানকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সবার সামনে বকা দেওয়া যেতেই পারে। বকা দিলে সন্তান মা-বাবার কথা মতো চলবে, ঠিকমতো পড়বে, সঠিকভাবে পুষ্টিকর খাবার খাবে। বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। এই প্রজন্মের শিশুকে নিজের সঙ্গে মেলালে আপনি ভুল করবেন। একদিন বকা বা মার খেয়ে শিশু চুপ থাকতে পারে। কিন্তু দিনের পর দিন এ ধরনের পরিস্থিতি চলতে থাকলে সন্তান একসময় অতিমাত্রায় বিরক্ত হবে।

গবেষণার তথ্য বলছে, যেসব শিশু অতিমাত্রায় কড়া শাসনের মধ্যে বড় হয়, তারা পরবর্তী জীবনে বেশি আতঙ্কের মধ্যে থাকে। এ ধরনের শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। তিক্ততা থেকে এসব শিশু-কিশোর অধিকাংশ সময় পরিবার ছাড়াও অন্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ফেলে।

সন্তান অতিমাত্রায় দুষ্টুমি করলে বা খুব বেশি অবাধ্য হলে, তাকে শাসন করতে হবে। তবে সেটা সব মানুষের সামনে চিৎকার-চেঁচামেচি করে নয়। শিশুকে অপদস্ত করলে ফল ভালো হবে না। শিশুদের আদর করে, বারবার বুঝিয়ে বলতে হবে। যেসব শিশু অভিভাবকের কাছ থেকে নিয়মিত বকা খায়, সেসব শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে, তারা একটুতেই ভয় পায়।

শিশুকে ভয় দেখাবেন না

শিশুকে কোনো কিছু নিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। এতে তার মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে

কড়া শাসনে শিশুর ব্যক্তিত্ব যেভাবে বদলে যায়

কড়া শাসনের কারণে শিশুরা বড় হয়ে একা সিদ্ধান্ত নিতে প্রায়ই ভুল করে। আবার বকা খেতে পারে, এই ভয়ে মা-বাবার কাছে তথ্য লুকাতে থাকে, নিয়মিত মিথ্যা বলতে শুরু করে। অনেক পরিবারে দেখা যায়, কিশোর-কিশোরীরা অতিমাত্রায় বকা, তিরস্কার পেতে পেতে অভিভাবকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত শাসনের জন্য একপর্যায়ে বিদ্রোহী মনোভাব নিয়ে সন্তানেরা আর অভিভাবকদের কথা শুনতে চায় না। মা-বাবার সঙ্গে অনেক শিশু-কিশোর মারামারিও করে ফেলে।

শৈশবে অনেক সময় আপনি ভয় দেখিয়ে সন্তানকে হয়তো কখনো কখনো বসিয়ে রাখতে পারবেন। কিন্তু কিশোর বয়সে তার বন্ধুবান্ধব হবে। বাসার বাইরে তার নিজের একটা জগৎ তৈরি হবে। এই বন্ধুদের মধ্যে কে আপনার সন্তানের জন্য উপযুক্ত আর কে ক্ষতিকর হতে পারে, সেটা বুঝে সন্তানকে সাবধান করতে পারেন।

বকাবকি করে বা মেরে শিশুর কাছ থেকে কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়

ভালো বন্ধু হতে চেষ্টা করুন

অনেক অভিভাবক সন্তানকে চাপ দেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি সৃজনশীল কাজেও পুরস্কার পেতেই হবে। পুরস্কার না পেলে আত্মীয়স্বজনের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। এমন ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে সন্তানকে অতিমাত্রায় চাপ দিয়ে আমরা বরং তার স্বাভাবিক সৃজনশীলতাকে নষ্ট করে দিই। এ ধরনের আচরণে অনেক সময় বাসার বাকি শিশুরাও ভয় পেয়ে যায়। নিজের সেরাটা প্রকাশ করা তখন কঠিন হয়ে পড়ে। সন্তানের ভালো ফলের জন্য তাকে বারবার বোঝাতে হবে। তার লেখাপড়াতে সহযোগিতা করতে হবে। কোন বিষয়গুলোতে তার দুর্বলতা, সেটা বুঝে সেইমতো পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনো বিষয় শিশুর কাছে কঠিন মনে হলে সেটা ধৈর্য নিয়ে পড়াতে হবে। একটা বিষয় শিশু কোনো এক বেলা পড়তে না চাইলে সেটাতে ছাড় দিন। বরং সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করে সে যে বিষয়টা পড়তে চায়, সেটাই পড়ানো ভালো। সন্তান যদি কোনো এক বেলা পড়ার পরিবর্তে খেলতে চায়, তাহলে তাকে খেলার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখা দরকার, এখনকার সন্তানেরা খেলার মতো মাঠ পায় না। তাদের শৈশবটা কীভাবে রঙিন করা যায়, সেই ভাবনাও রাখতে হবে অভিভাবককে।

তাই সন্তানের কঠোর অভিভাবক না হয়ে বরং ভালো বন্ধু হতে চেষ্টা করুন। বাকি ভালো গুণগুলো সে প্রকৃতি থেকেই শিখে নেবে।


মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন

মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন

ঝলসে যাওয়া শরীর নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে শিশু, পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার খেসারত

ঝলসে যাওয়া শরীর নিয়ে  হাসপাতালে কাতরাচ্ছে শিশু, পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার খেসারত

বীর মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল হারুনের শেষ ইচ্ছা, `গার্ড অব অনার` ছাড়াই শেষ বিদায়

বীর মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল হারুনের শেষ ইচ্ছা, `গার্ড অব অনার` ছাড়াই শেষ বিদায়

১৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

১৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

বিএনপির সম্মেলন পন্ড করতে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা তৈরির অভিযোগ

বিএনপির সম্মেলন পন্ড করতে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা তৈরির অভিযোগ

সন্তানদের সামনে স্ত্রীকে হত্যা, গাজীপুর থেকে পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার

সন্তানদের সামনে স্ত্রীকে হত্যা, গাজীপুর থেকে পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার

গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী ৫৯ শিক্ষকসহ বাকৃবিতে ১৫৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান

গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী ৫৯ শিক্ষকসহ বাকৃবিতে ১৫৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান

যৌন হয়রানির অভিযোগে বেরোবি অধ্যাপক সাময়িক বরখাস্ত

যৌন হয়রানির অভিযোগে বেরোবি অধ্যাপক সাময়িক বরখাস্ত

রাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ছাত্রদলের আহ্বান

রাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ছাত্রদলের আহ্বান

দেশের বহু আলোচিত ২ ঘন্টার মাছের বাজার কোটি কোটি টাকা বিকি-কিনি

দেশের বহু আলোচিত ২ ঘন্টার মাছের বাজার কোটি কোটি টাকা বিকি-কিনি

মোহনগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ ধরা ৩ যুবক

মোহনগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ ধরা ৩ যুবক

আশুলিয়ায় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৮

আশুলিয়ায় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৮

ইবি শিক্ষার্থী হত্যার বিচার দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ

ইবি শিক্ষার্থী হত্যার বিচার দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার

সাত কলেজকে চারটি স্কুলে ভাগ করে পরিচালনার সিদ্ধান্ত, জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সাত কলেজকে চারটি স্কুলে ভাগ করে পরিচালনার সিদ্ধান্ত, জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

“নবারুণ প্রিমিয়ার লিগ” সিজন-৬ এর ট্রফি উন্মোচন

“নবারুণ প্রিমিয়ার লিগ” সিজন-৬ এর ট্রফি উন্মোচন

লাল সবুজের পতাকা উড়লো গ্রেট ওয়ালে: শেরপুরের সেলিমের জয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ

লাল সবুজের পতাকা উড়লো গ্রেট ওয়ালে: শেরপুরের সেলিমের জয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ

আপন দুই ভাইসহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বৃদ্ধা নিহত

আপন দুই ভাইসহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বৃদ্ধা নিহত

ধর্ষণ নয়, ষড়যন্ত্র: ছেলের নির্দোষ প্রমাণে সংবাদ সম্মেলন মায়ের

ধর্ষণ নয়, ষড়যন্ত্র: ছেলের নির্দোষ প্রমাণে সংবাদ সম্মেলন মায়ের

ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারিভাবে পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা হবে

ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারিভাবে পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা হবে

ইউপি সদস্যর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চাচির অনশন

ইউপি সদস্যর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চাচির অনশন

বটি দিয়ে কুপিয়ে দুই সন্তানকে হ*ত্যা করেন মা

বটি দিয়ে কুপিয়ে দুই সন্তানকে হ*ত্যা করেন মা

বিএনপিকে ল্যাং মারতে যেয়ে নিজেদের ঠ্যাং না ভেঙ্গে যায়, প্রিন্স

বিএনপিকে ল্যাং মারতে যেয়ে নিজেদের ঠ্যাং না ভেঙ্গে যায়, প্রিন্স

সাভার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি (সুজ) এর ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে

সাভার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি (সুজ) এর ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে

আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় প্রাণ গেলো রোজাদার নারীর

আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় প্রাণ গেলো রোজাদার নারীর

নোয়াখালীতে কৃষককে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

নোয়াখালীতে কৃষককে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

দু'শ টাকার জন্য বন্ধুদের হাতে বন্ধু খুন, পুলিশের উপস্থিতিতে আসামীপক্ষের ধান বিক্রি

দু'শ টাকার জন্য বন্ধুদের হাতে বন্ধু খুন, পুলিশের উপস্থিতিতে আসামীপক্ষের ধান বিক্রি

বকশীগঞ্জে মসজিদের জমি দখল ও কবরস্থানের জমি বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বকশীগঞ্জে মসজিদের জমি দখল ও কবরস্থানের জমি বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শিশু বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলো পিতা, শিশু ছিনতাইকারী বলে বেধড়ক পেটালো জনতা

শিশু বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলো পিতা, শিশু ছিনতাইকারী বলে বেধড়ক পেটালো জনতা

বে টার্মিনালে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান

বে টার্মিনালে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান

সব খবর