৬৩ লাখ টাকার জন্য ফাঁসলেন রাজউক উপপরিচালক ও তার স্ত্রী

রাজউকের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. সোহাগ মিয়া ও তার স্ত্রী ওয়াজেফু তাবাসসুম ঐশী ৬৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের হিসাব দিতে না পারায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন এবং বিষয়টি শনিবার দুদকের জনসংযোগ দপ্তর নিশ্চিত করে।
ওয়াজেফু তাবাসসুম ঐশী ২০২৪ সালের ১৯ মার্চ দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৬৩ লাখ ১১ হাজার ২২২ টাকার অস্থাবর সম্পদ বা সঞ্চয়পত্রের তথ্য দেন এবং দাবি করেন, এটি তার পিতা মো. ওয়াজেদ আলীর কাছ থেকে প্রাপ্ত। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, তার পিতা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, যিনি কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে ফোরম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং অবসরের সময় ভবিষ্যৎ তহবিল ও পেনশন বাবদ মোট ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ৪৫১ টাকা পেয়েছেন। ওই অর্থ থেকে কন্যাকে কোনো আর্থিক লেনদেন বা দানের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া আসামির বড় ভাইয়ের কাছেও সম্পত্তি হস্তান্তরের কোনো নজির নেই।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, ঐশ্বরী একজন গৃহিণী এবং তার কোনো নিজস্ব আয় বা অর্থোপার্জনের উৎস নেই। ২০২২ সালে তিনি আয়কর নিবন্ধন করলেও কোনো আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি।
তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে দুদক মনে করছে, ওয়ার্জেফু ও তার স্বামী পরস্পরের যোগসাজশে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।