লেনদেনে ফিরছে চাঙাভাব, দুই মাস পর পুঁজিবাজারে লেনদেন ৫০০ কোটির ঘরে

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ-পরবর্তী অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠার পর ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। গেল সপ্তাহে কিছুটা উত্থান-পতনের মধ্যেও মোটামুটি স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। দুই মাসের বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) লেনদেন ছাড়িয়ে গেছে ৫০০ কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক, লেনদেন ও বাজার মূলধন—তিন দিকেই ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৮৯৪ পয়েন্টে। একই সময়ে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা, যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬ কোটি টাকার কিছু বেশি।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ২১টি খাতের মধ্যে ১৮টির লেনদেন বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন বেড়েছে ব্যাংক খাতে—প্রায় ৬৫ শতাংশ।
এছাড়া, বীমা, প্রযুক্তি, ওষুধ ও পোশাক খাতেও উল্লেখযোগ্য উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। তবে সিরামিকস, খাদ্য এবং পাট খাতে লেনদেন কমেছে।
সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিনই ডিএসইতে লেনদেন ছিল সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার ওপরে। যা গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় একটি বড় পরিবর্তন। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৫০০ কোটি টাকার বেশি, যা প্রায় দুই মাস পর দেখা গেল।
দাম বাড়ার শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির মধ্যে এ ক্যাটাগরির ২টি, বি ক্যাটাগরির ২টি এবং জেড ক্যাটাগরির ১টি কোম্পানি রয়েছে। অন্যদিকে, দাম কমার তালিকায় রয়েছে এ ক্যাটাগরির ৩টি ও বি ক্যাটাগরির ২টি কোম্পানি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থার পুনরুদ্ধার, ব্যাংকিং খাতে আগ্রহ বৃদ্ধি এবং মৌসুমি প্রভাবসহ কয়েকটি প্রণোদনামূলক খবরে বাজারে এ চাঙাভাব দেখা গেছে। তবে টেকসই ইতিবাচক ধারা বজায় রাখতে প্রয়োজন নীতিগত স্বচ্ছতা, আর্থিক খাতের সংস্কার ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ।