বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে এক সপ্তাহের নীচে, ওপেক প্লাসের উৎপাদন বৃদ্ধিতে শঙ্কা

গতকাল সোমবার (৪ আগস্ট) এক সপ্তাহের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। লন্ডনের ব্রেন্ট ক্রুড দাম ব্যারেল প্রতি ৬৮.৭৬ ডলার ও নিউইয়র্কের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট দাম ৬৬.২৭ ডলার। ওপেক প্লাস সেপ্টেম্বরে দৈনিক ৫ লাখ ৪৭ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা সরবরাহ বৃদ্ধির আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। তবে রাশিয়ার তেল সরবরাহে নতুন বাধার আশঙ্কা দামকে কিছুটা সহায়তা করেছে।
মূল্য পূর্বাভাস:
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তিকে ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম ৬৪ ডলার, আর ২০২৬ সালে ৫৬ ডলারে নেমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে। যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, শুল্ক বা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এই পূর্বাভাসে প্রভাব ফেলতে পারে। রাশিয়া ও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে সরবরাহে চাপ থাকায় দাম বেশি হতে পারে।
রাজনৈতিক প্রভাব:
ওপেক প্লাস দীর্ঘদিন উৎপাদন সীমিত রেখে বাজার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছিল, তবে এবার উৎপাদন বৃদ্ধি করছে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কড়া চাপ দিতে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার তেল আমদানিকারকদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। ভারত রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে গড়ে দৈনিক ১৭ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল কিনেছে।
ভারত যদি রাশিয়ান তেল আমদানিতে বাধা পায়, রাশিয়াকে কম সংখ্যক মিত্রের কাছে বিক্রি করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র যদি অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপ করে, তবে তা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ধীর করতে পারে এবং জ্বালানির চাহিদা কমে যেতে পারে।