ছাদ ঢালাই শেষ হলেও ৭ বছর ধরে বন্ধ নির্মাণ, গায়েব নথিপত্র

পুরান ঢাকার জনসন রোডে নির্মাণাধীন সরকারি ২০তলা আধুনিক বহুতল ভবন প্রকল্পে নথি গায়েব, অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জেলা পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পে দীর্ঘ স্থবিরতা ও গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি।
গত সোমবার (১৪ জুলাই) দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এই অভিযান পরিচালনা করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আক্তারুল ইসলাম।
দুদক জানায়, অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত জেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নথি সংগ্রহ করা হয়। পরে টিম সরেজমিনে জনসন রোডে গিয়ে নির্মাণাধীন ভবনটি পরিদর্শন করে এবং প্রকল্পে স্থবিরতার বাস্তবতা দেখে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ভবনটির নির্মাণ কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল ২০১২ সালে। নির্ধারিত সময়কাল ছিল ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৭ মে পর্যন্ত। যদিও ভবনের ২০তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হলেও ২০১৭ সাল থেকে নির্মাণকাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় সরকার আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে দুদক মনে করছে।
দুদক সূত্র জানায়, অভিযানে অনুমোদিত স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ও ডিটেইল এস্টিমেট সম্পর্কিত কোনো নথিপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও পরামর্শকের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। ফলে নির্মাণকাজের গুণগতমান যাচাই করা সম্ভব হয়নি। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম মনে করছে, এ অনিয়ম ও গাফিলতিই প্রকল্প স্থবিরতার অন্যতম কারণ।
অভিযানে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র যাচাই করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।
সোমবারই আরেকটি অভিযানে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগে তদন্ত চালায় দুদক। ছদ্মবেশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলেন টিম সদস্যরা।
পরিদর্শনে গিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ এবং পচে যাওয়া ওষুধের প্যাকেট রাখার মতো গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ মেলে। এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দুদকের টিম কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানানো হয়েছে।