মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল চত্তরেই রকমারি দোকান পাট দুর্ভোগ চরমে

প্রধান ফটকেই চা- সিগারেট বিক্রি চত্তরের ভিতরেই বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স শৃঙ্খলা ফেরাতে নেই কোন উদ্যোগ ২৫০ শয্যা মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল চত্তরের ভিতরেই বসে রকামরি ৮/১০ টি দোকান। এসব অবৈধ ভাসমান দোকানে একদিকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে রোগী বহনকারী যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। রোগী নিয়ে দ্রুত বের হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দোকানগুলোতে চা, পান সিগারেট, খাবার, আখের রস, চটপটি, ফুচকা, বাচ্চাদের খেলনা, ডাব ইত্যাদি বিক্রি হয়ে থাকে নিয়মিতই। হাসপাতাল চত্তরে যা আইনত অবৈধ। জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা যায়, হাসপাতাল প্রাঙ্গনে কোন ধরনের দোকানপাট বসা আইনের বহির্ভূত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের উচ্ছেদ করা হবে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে হাসপাতাল চত্তরের ভিতরে এমন দোকানপাট। এটা নতুন নয়। সুশিল সমাজের নাগরিকরা বলছেন, কোন শৃঙ্খলা নেই এখানে।
দোকানপাটে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে নিয়মিতই। যত্রতত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ ও বাহির হতে বেগ পোহাতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনেই বিভিন্ন দোকান। বিষয়টি দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষ দেখে কোন ব্যবস্থা নেয়না। তাছাড়া বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স তো আছেই। নিয়ম না থাকলেও অনিয়মই – নিয়মে পরিনত হচ্ছে এই হাসপাতালে। হাসপাতাল চত্তর থেকে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স অপসারণ, সকল দোকানপাট উচ্ছেদ করে হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানাই। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই যে যার মত করে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন। সব কিছু দেখেও না দেখার ভ্যান জেনারেল হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের। তত্ত্বাবধায়ক আহমেদ কবীর মুন্সিগঞ্জের বার্তাকে জানান, আমরা এর আগেও দোকান বসতে নিষেধ করেছিলাম। পরে তারা কয়েকদিন আসেনি। এখন আবার দোকানপাট করছে। আসলে আমাদের লোকবল সংকট। জেলা প্রশাসকের সাথে সমন্বয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।