নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে সাংবাদিক হেনস্থা, প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ২ সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকরা।
৭ আগস্ট (বুধবার) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তব্যরত সকল সাংবাদিকবৃন্দের ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা দাবি করেন, ৫ আগস্ট ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবসের’ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে সংবাদ সংগ্রহের সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম হৃদয় দুই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারধরের হুমকি দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “সাংবাদিকদের হুমকি শুধু ব্যক্তি নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের নিরাপত্তার ওপর আঘাত।” তারা ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাংবাদিক সংগঠনগুলো সংহতি প্রকাশ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম হৃদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জুলাই -২৪ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক পরিচয়ের সুবিধা নিয়ে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে বিশেষ বিবেচনায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা গেছে, অতিথিদের স্মারক প্রদান চলাকালে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে দর্শক সারির সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম তাদের সরে যেতে বলেন। কয়েকজন সরে গেলেও আশরাফুল আলম নিজের পরিচয় দিয়ে দায়িত্ব পালনের কথা জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ‘বেয়াদব’ বলে গালি দিয়ে থাপড়ানোর হুমকি দেন।
এদিকে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।