উত্তরবঙ্গের কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীর একক অবস্থান কর্মসূচি

উত্তরবঙ্গের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী। আজ রবিবার (২৫ মে) বিকেল ৫ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতিসৌধে এ কর্মসূচি পালিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খোকন চন্দ্র বর্মন এ কর্মসূচিতে একাই অংশ নেন। এ সময় তিনি ‘কৃষক বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও, নায্যমূল্য নিশ্চিত কর’, ‘ফসলের নায্যমূল্য নিশ্চিত না হলে কৃষক মরবে ঋণগ্রস্থ আর হতাশায়’, ‘উত্তরবঙ্গের কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হোক’—এমন ব্যানার হাতে নিয়ে নীরব প্রতিবাদ জানান।
খোকন বলেন, “উত্তরবঙ্গের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু দিনশেষে তাদের শ্রমের যথাযথ মূল্য মিলছে না। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে শুধু আলু চাষেই কৃষকরা প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে। আলু ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকে ৮–১০ টাকায় আলু কিনে রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে তা ২৫–৩০ টাকায় বিক্রি করছে। একইভাবে, ৫ টাকায় কেনা কুমড়া অন্যত্র বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। এর ফলে কৃষকরা চরমভাবে আর্থিক বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় এ দামে কৃষকদের কীটনাশকের খরচই উঠছে না। লাভ তো দূরের কথা। এ অবস্থায় সরকারের উচিত কৃষকদের প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়া এবং তাদের প্রাপ্য ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে তাদের ঋণমুক্ত রাখা।”
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে এসে তার প্রতিবাদের বিষয়টি জানেন এবং অনেকে মৌখিকভাবে সমর্থন জানান।
উল্লেখ্য, দেশের কৃষি ব্যবস্থার অন্যতম ভিত্তি হলো উত্তরবঙ্গের কৃষি অঞ্চল। কিন্তু বাজার ব্যবস্থাপনা, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং সরকারি নজরদারির অভাবে কৃষকরা বছরের পর বছর ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।