আগাম জামিন পেলেন চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না

‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর ‘কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢেলে’ স্বামীকে ছাড়িয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্ত্রী শারমিন তামান্না। সেই আসামি তামান্না উচ্চ আদালত থেকে পেয়েছেন আগাম জামিন।
বুধবার (৯ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মাহবুব উল আলম এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের আদালতে তার আগাম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। যদিও বিষয়টি জানাজানি হয় আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্ট থেকে।
উচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, গত মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মাহবুব উল আলম এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের বেঞ্চে ৫৪৭টি মামলার শুনানির ক্রমিক ছিল। সেখানে সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্নার আগাম জামিনের সিরিয়াল ছিল ৪৬৩ নম্বরে। ওইদিন মোট ৬৩টি মামলার শুনানি হয়। তার মধ্যে ছিল তামান্নার মামলাটিও।
গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেন লোকজন। এর আগে, ২৯ জানুয়ারি তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। তার আগে সাজ্জাদ সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেন। সাজ্জাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।
সাজ্জাদকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তার স্ত্রী শারমিন তামান্না। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা যারা ভাবতেছেন আমার জামাই অ্যারেস্ট হইছে আর কোনোদিন বের হতে পারবে না, ওদের জন্য এক বালটি (বালতি) সমবেদনা। আমরা কাড়ি কাড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব। আমার জামাই বীরের বেশে চলে আসবে।’ আইনজ্ঞদের মতে, ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের স্ত্রীর এমন সব কথা দেশের আইন ও নিরাপত্তা সংস্থাকে অপমান করে।
তামান্নার জামিন পাওয়া নিয়ে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘‘চট্টগ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ যিনি কিছু দিন আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন, এবং গ্রেপ্তার পরবর্তীতে তার স্ত্রী তামান্না শারমিন ‘কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে আদালত ও জামিন’ কিনে নেওয়ার কথা বলে দেশের আইন ও নিরাপত্তা সংস্থাকে রীতিমতো অপমানের চূড়ান্ত করেছেন। সেই তামান্নাকে আজ (বুধবার) আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘বিজয় ৭১ ভবনের ২৫ নম্বর কোর্টে (৯ম তলায়, বিচারপতি মো. মাহবুব উল আলম এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমান পরিচালিত ৫৪৭টি মামলার আগাম জামিনের শুনানি থাকলেও দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সিরিয়াল নম্বর ১৫০ পর্যন্ত শুনানি চলে, এবং তারপরই বিচারক, সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমীনের মামলায় চলে যান এবং ১ মিনিটের মধ্যেই জামিন মঞ্জুর করে দেন। এরপর তিনি দ্রুততার সঙ্গে আরও কয়েকটি মামলার শুনানি শেষ করেন।’’
সিরিয়াল ভাঙা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আদালত গুরুত্ব বিবেচনায় অর্থাৎ সচরাচর কারো জটিল রোগ বা আপনজন মারা গেলে তখল মূল সিরিয়াল ভেঙ্গে যেকোনো একটি সিরিয়ালের মামলা ধরতে পারে। কিন্তু ১৫০’র পর, ৪৬৩ নম্বরে থাকা তামান্না শারমিনের মামলা ঠিক কোন যৌক্তিকতায় ১ মিনিটে শুনানি শেষ করে আগাম জামিনের সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়া হলো?’
উল্লেখ্য, সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পরপরই গত ৩০ মার্চ নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে ‘ব্রাশফায়ার’ করেন তার অনুসারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের, আহত হন আরও দুজন। নিহত ও আহতরা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলার অনুসারী।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের একজন বখতিয়ার হোসেনের মা ফিরোজা বেগম গত মঙ্গলবার বাকলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকে হুকুমের আসামি করা হয়। মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন-মো. হাসান, মোবারক হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. রায়হান ও মো. বোরহান। সবশেষ গত ৬ এপ্রিল নগরীর চান্দগাঁও থানার ইট ও বালু ব্যবসায়ী তাহসীন হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাজ্জাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মাহবুব উল আলম এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের আদালতে তার আগাম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। যদিও বিষয়টি জানাজানি হয় আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্ট থেকে।
উচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, গত মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মাহবুব উল আলম এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের বেঞ্চে ৫৪৭টি মামলার শুনানির ক্রমিক ছিল। সেখানে সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্নার আগাম জামিনের সিরিয়াল ছিল ৪৬৩ নম্বরে। ওইদিন মোট ৬৩টি মামলার শুনানি হয়। তার মধ্যে ছিল তামান্নার মামলাটিও।
গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেন লোকজন। এর আগে, ২৯ জানুয়ারি তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। তার আগে সাজ্জাদ সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেন। সাজ্জাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।
সাজ্জাদকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তার স্ত্রী শারমিন তামান্না। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা যারা ভাবতেছেন আমার জামাই অ্যারেস্ট হইছে আর কোনোদিন বের হতে পারবে না, ওদের জন্য এক বালটি (বালতি) সমবেদনা। আমরা কাড়ি কাড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব। আমার জামাই বীরের বেশে চলে আসবে।’ আইনজ্ঞদের মতে, ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের স্ত্রীর এমন সব কথা দেশের আইন ও নিরাপত্তা সংস্থাকে অপমান করে।
তামান্নার জামিন পাওয়া নিয়ে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘‘চট্টগ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ যিনি কিছু দিন আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন, এবং গ্রেপ্তার পরবর্তীতে তার স্ত্রী তামান্না শারমিন ‘কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে আদালত ও জামিন’ কিনে নেওয়ার কথা বলে দেশের আইন ও নিরাপত্তা সংস্থাকে রীতিমতো অপমানের চূড়ান্ত করেছেন। সেই তামান্নাকে আজ (বুধবার) আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘বিজয় ৭১ ভবনের ২৫ নম্বর কোর্টে (৯ম তলায়, বিচারপতি মো. মাহবুব উল আলম এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমান পরিচালিত ৫৪৭টি মামলার আগাম জামিনের শুনানি থাকলেও দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সিরিয়াল নম্বর ১৫০ পর্যন্ত শুনানি চলে, এবং তারপরই বিচারক, সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমীনের মামলায় চলে যান এবং ১ মিনিটের মধ্যেই জামিন মঞ্জুর করে দেন। এরপর তিনি দ্রুততার সঙ্গে আরও কয়েকটি মামলার শুনানি শেষ করেন।’’
সিরিয়াল ভাঙা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আদালত গুরুত্ব বিবেচনায় অর্থাৎ সচরাচর কারো জটিল রোগ বা আপনজন মারা গেলে তখল মূল সিরিয়াল ভেঙ্গে যেকোনো একটি সিরিয়ালের মামলা ধরতে পারে। কিন্তু ১৫০’র পর, ৪৬৩ নম্বরে থাকা তামান্না শারমিনের মামলা ঠিক কোন যৌক্তিকতায় ১ মিনিটে শুনানি শেষ করে আগাম জামিনের সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়া হলো?’
উল্লেখ্য, সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পরপরই গত ৩০ মার্চ নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে ‘ব্রাশফায়ার’ করেন তার অনুসারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের, আহত হন আরও দুজন। নিহত ও আহতরা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলার অনুসারী।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের একজন বখতিয়ার হোসেনের মা ফিরোজা বেগম গত মঙ্গলবার বাকলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকে হুকুমের আসামি করা হয়। মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন-মো. হাসান, মোবারক হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. রায়হান ও মো. বোরহান। সবশেষ গত ৬ এপ্রিল নগরীর চান্দগাঁও থানার ইট ও বালু ব্যবসায়ী তাহসীন হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাজ্জাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।