মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবন্ধী পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মামলাবাজ মোঃ শহিদুল ইসলাম এর ছেলে আরিফ হোসেন মিথ্যা মামলা দিয়ে একটি প্রতিবন্ধী পরিবারকে কে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এলাকার নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই শহিদুল গংদের বিরুদ্ধে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিবন্ধী ফখরুল ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত আরিফ হোসেন কে মারধর করে। তাকে বাঁচাতে আসলে তারা দা দিয়ে গোলাপজান ও আরিফ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপ দেয়। এই সূত্র কে কেন্দ্র করেই অভিযুক্ত আরিফ হোসেন বাদী হয়ে ভোলা কোর্টে এটি মামলা দায়ের করে যার মামলা নং এমপ ১৯৭।
উক্ত মামলার সূত্র ধরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত শনিবার মোল্লা বাজারের আশেপাশে ও পশ্চিম চরকালি ৩ নং ওয়ার্ডে এ ধরনের মারামারি কোন ঘটনাই ঘটেনি। এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা অত্র এলাকার কেউ তা বলতেও পারে না। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ডাক্তার রিয়াদ, জাফর পন্ডিত, কালিমুল্লাহ ও মামলায় বর্ণিত ঘটনাস্থলের মোল্লা বাজারের ব্যাবসায়ী হানিফ বলেন, ও গত শনিবার বা তারও এক সপ্তাহ আগে আগে অথবা এখন পর্যন্ত অত্র এলাকায় এ ধরনের কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। কোপাকোপির মত এ ধরনের জঘন্য মারামারি হলে আমরা কোন না কোন ভাবে একটু হলে তো জানতাম। তাছাড়া মামলার বাদী আরিফ হোসেন ও তার দাদি যে আহত হয়েছে তারও এমন কোন নমুনা আমরা দেখতে পাইনি। কিন্তু আজ হঠাৎ করে আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম এখানে মারামারি হয়েছে এ মারামারিকে কেন্দ্র করে মামলাও হয়েছে। অথচ যার নামে মামলা দিয়েছে তিনি প্রতিবন্ধী। যার পা নেই তিনি কিভাবে তাদেরকে মারধর করল তা আমাদের বুঝে আসেনা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী ফখরুল ইসলাম বলেন, এদের সাথে বিগত কয়েক বছর যাবত জমি জমা নিয়ে আমার সাথে বিরত চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে এরা আমার মেয়ের ঘর-দুয়ার ভাঙচুর করে। তখন আমি আইনের আশ্রয় নেই। তখনো তারা আমার সেই মামলার এগেনস্টে একটি মিথ্যা মামলা করে। সেই রমজান মাস থেকে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত আরিফ এর পরিবার পলাতক অবস্থায় রয়েছে। তাহলে যারা পলাতক রয়েছে তাদেরকে আমরা কিভাবে হামলা করলাম। আর কেনই বা আমরা তাদেরকে হামলা করবো। আপনারা দেখেন আমার একটি পা নেই, যার একটি পা নেই সে কিভাবে আরেকজনকে কুপিয়ে হত্যা করতে যায় এটি আপনারাই বিচার করুন।
একই এলাকার ভুক্তভোগী আর কয়েকটি পরিবার শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ক অভিযুক্ত আরিফ হোসেন ও গোলাপজানের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, তাদেরকে মারধর করেছে ও কুপিয়েছে। শরীরে কূপের দাগ দেখতে চাইলে মামলায় উল্লেখ কিন্তু স্থানের কূপের দাগ তারা দেখাতে পারেননি। এছাড়াও এই মামলাটি করার প্রকৃত কারণ কি তারও কোন সদুত্তর তারা দিতে পারেনি।