‘আমার দেশ’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মায়ের দাফন সম্পন্ন
‘আমার দেশ’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহমুদা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (৬ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর জুরাইন পুরনো ভিআইপি কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। দাফনের পর মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এর আগে, জোহরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহিম। জানাজায় অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের ব্যক্তিত্ব।
দাফনস্থলে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. আব্দুল্লাহ, ‘আমার দেশ’-এর পরিচালক আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, পিএসসি সদস্য নাজমুল আলম মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনির হোসেনসহ আরও অনেকে।
জানাজার আগে আবেগঘন কণ্ঠে মাহমুদুর রহমান বলেন,আমার মা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন। তিনি অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করতেন। আমার জানা মতে, তিনি কাউকে কষ্ট দেননি। আমার মা অনেক ছাত্রকে পড়িয়েছেন। আজকের জানাজায় তার অনেক ছাত্র উপস্থিত হয়েছেন। শিক্ষকতাকালে যদি তিনি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকেন, অনুগ্রহ করে তাকে ক্ষমা করে দেবেন।”
অধ্যাপক মাহমুদা বেগম রোববার ভোরে রাজধানীর মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। রেখে গেছেন একমাত্র সন্তান মাহমুদুর রহমান, পুত্রবধূ ফিরোজা মাহমুদ এবং ছোট বোন মনিরা মাহমুদসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শিক্ষার্থী।
তার প্রস্থান এক সুশিক্ষিত, নীতিবান ও সমাজসচেতন শিক্ষকের বিদায়—যিনি নীরবে শত শত মানুষকে আলোকিত করেছেন জ্ঞানের আলোয়।