ঘরের জানালা ভেঙে বের হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও নারীকে কুপিয়ে হত্যা করলো মানসিক রোগী, আহত ৪

ময়মনসিংহের ভালুকায় মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী কাঁচি ও কোদাল দিয়ে কুপিয়ে এক নারীসহ মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আরও এক মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করেছে। আহতদের মাঝে দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর ঘাতক সাইদুলকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ইউনিয়নের কাতলামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার পাঁচগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের শহীদ মিয়ার স্ত্রী হাফেজা আক্তার ( ৫২), মৃত সলিম উদ্দিনের ছেলে বীরমুক্তিযোদ্বা গাজী আশারাফ আলি আশু (৭০)। আহতরা হলেন, একই গ্রামের আব্দুস সামাদ (৩০), সাকিম (৩৫), বীর মুক্তিযোদ্বা আলী শিকদার (৭৫,) জেবুননাহার (৫০)।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির নারীসহ দুইজনকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘাতক সাইদুল মানসিকভারসাম্যহীন রোগী। তার ভাইকে সাইদুলকে ঘরে আটকে রেখেছিল। ঘটনার সময় সে ঘরের জানালা ভেঙে বিকালের দিকে ঘর থেকে বের হয়। বের হয়ে ঘাস কাটতে আসা হাফেজার হাত থেকে কাঁচি কেড়ে নিয়ে তাকে ঘটনাস্থলেই কাচিঁ দিয়ে গলা ও বুকে আঘাত করে হত্যা করে। এর কিছুক্ষণ পর সাইদুল একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্বা গাজী আশারাফ আলি আশুকে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বীর মুক্তিযোদ্বা গাজী আশারাফ আলি আশুকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় সাইদুল একই এলাকার আব্দুস সামাদ, সাকিম, বীর মুক্তিযোদ্বা আলী শিকদার ও জেবুননাহার নামে নারীকে কুপিয়ে আহত করে। আহত ৪ জনের দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘাতক সাইদুল মানসিকভারসাম্যহীন রোগী। তার ভাই সাইদুলকে ঘরে আটকে রেখেছিল। ঘটনার সময় সে ঘরের জানালা ভেঙে বিকালের দিকে ঘর থেকে বের হয়। বের হয়ে দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা ও ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করে।
ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে আসামী সাইদুল গত কয়েকদিন যাবত মানসিক রোগীর মত আচরণ করছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ ঘাতক সাইদুলকে আটক করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।