বাগেরহাটে ভোটার না হয়েও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক লামিয়া আক্তারকে ঘিরে উঠেছে ব্যাপক বিতর্ক। ভোটার না হয়েও তিনি নির্বাচিত হয়েছেন—এমন অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং পদ বাতিলসহ পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে। সম্মেলনে মো. নুরুজ্জামান মল্লিক ও মো. নাজমুন নাছিম রাখি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ে নাছিম রাখিকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে, তিনি তাঁর স্ত্রী লামিয়া আক্তারকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। পরে ভোটে লামিয়া নির্বাচিত হন।
তবে নির্বাচনের পর অভিযোগ ওঠে, লামিয়া আক্তার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নন, বরং পাশ্ববর্তী হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামের ভোটার। তৃণমূল নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, তিনি বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সদস্যও নন।
এই বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন তালিম বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. নুরুজ্জামান মল্লিক। তিনি অভিযোগে বলেন,লামিয়ার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর চাচা আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন ‘ডেভিলহান্ট’ অভিযানে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। লামিয়ার স্বামী নাছিম রাখি এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ঘের দখলসহ নানা অপকর্ম করছে। তিনি আরও দাবি করেন,দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থী হিসেবে আমি যেন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা পাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লামিয়া আক্তার বলেন,আমি বহরবুনিয়া ইউনিয়নেরই ভোটার। কেন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে, বুঝতে পারছি না। বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুল নাসির বলেন,লামিয়া আক্তারের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমানও এ বিষয়ে অবগত আছেন। ভোটার সংক্রান্ত বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।