Times Today
অনুসন্ধান করতে টাইপ করুন
কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি

কর্মকর্তাদের সহজে চাকরিচ্যুতির আইনি পথ খুলছে সরকার

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৪৩
কর্মকর্তাদের সহজে চাকরিচ্যুতির আইনি পথ খুলছে সরকার

সরকারি চাকরিজীবীদের ওপর কঠোর হতে সাড়ে চার দশক আগের একটি অধ্যাদেশের কিছু ধারা ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এটি করা হচ্ছে মূলত সরকারি কর্মচারীদের রাজপথে সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি বন্ধ করতে। অন্য কর্মচারীকে তাঁর কর্মস্থলে যেতে বাধা না দিতে। সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ বন্ধ করতে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কোনো কর্মচারীর কারণে দাপ্তরিক শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটলে তদন্ত ছাড়া তাঁকে আট দিনের নোটিশে চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার। কেউ বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তাঁকেও তদন্ত ছাড়া আট দিনের মধ্যে অব্যাহতি দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে কোনো কর্মচারী আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কোনো কর্মচারীর কারণে দাপ্তরিক শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটলে তদন্ত ছাড়া তাঁকে আট দিনের নোটিশে চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার। কেউ বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তাঁকেও তদন্ত ছাড়া আট দিনের মধ্যে অব্যাহতি দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে কোনো কর্মচারী আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন না।

‘সরকারি চাকরি আইন ২০১৮’ সংশোধনের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো যুক্ত করা হচ্ছে। আর এ-সংক্রান্ত ধারাগুলো আনা হচ্ছে ‘সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ১৯৭৯’ থেকে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে নতুন সরকারি আইন পাস করার পর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ের অধ্যাদেশটি বাতিল হয়ে যায়।

সরকারি চাকরিতে এখন প্রায় ১৫ লাখ কর্মচারী রয়েছেন। কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, ছুটি, শাস্তি—সবকিছুই নির্ধারিত হয় ‘সরকারি চাকরি আইন ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮’-এর মাধ্যমে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এসব বিষয় বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় লাগে। অন্তর্বর্তী সরকার চায়, কর্মচারীরা অপরাধ করলে দ্রুত শাস্তি পাবেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রশাসনে অস্থিরতা দেখা দেয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুলিশ, প্রশাসন, শিক্ষাসহ কয়েকটি ক্যাডারের কর্মচারীদের অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। অনেক কর্মচারী বিনা অনুমতিতে দিনের পর দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। সরকারের প্রতি আনুগত্য দেখাচ্ছেন না। অন্য কর্মচারীদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে।

আইনটি সংশোধনের কাজ করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগ। সংশোধিত আইন অনুমোদনের জন্য শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদে উত্থাপন করা হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

অনিবার্য কারণে যদি সরকার আইনটি সংশোধন করতে চায়, তাহলে তাদের এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে আইনের অপব্যবহার হবে না।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের প্রধান ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব এ এন এম মঈনুল ইসলাম কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন।

গত রোববার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমানের দপ্তরে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে গত সোমবার মন্ত্রণালয়ের বিধি বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শামীম সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সংশোধিত আইনটি তোলার প্রক্রিয়া চলছে।

প্রশাসনে শৃঙ্খলা আনতে আইনটি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক রেক্টর এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কোনো কর্মচারী বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে পারেন না। অন্যকে প্ররোচিত করতে পারেন না। সচিবালয়ে গিয়ে বারান্দায় শুয়ে পড়তে পারেন না। কর্মচারীরা মাঝেমধ্যে যুক্তি মানেন না। প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারকে কঠোর হতে হবে।

আইনে যা যুক্ত হচ্ছে

সরকারি কর্মচারী বিশেষ বিধান অধ্যাদেশ ১৯৭৯-এর চারটি ধারা সরকারি চাকরি আইনে সংযোজন করা হচ্ছে। অধ্যাদেশের তিন নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীর জন্য যেসব বিষয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে—

১. একজন কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হয়, যার কারণে অন্য কোনো সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি হয়, শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়, কর্তব্য পালনে বাধার সৃষ্টি হয়।

২. কোনো কর্মচারী যদি ছুটি ছাড়া বা যুক্তিসংগত কারণ না দেখিয়ে নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন বা অন্যভাবে বিরত থাকেন এবং নিজের কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হন।

৩. কোনো কর্মচারী যদি তাঁর নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন, একই সঙ্গে অন্য কর্মচারীকে কাজে অনুপস্থিত থাকতে প্ররোচিত করেন। কোনো কর্মচারীকে তাঁর কর্তব্য পালন না করতে উসকানি দেন।

৪. যদি কোনো কর্মচারী আরেক কর্মচারীকে কাজে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য পালনে নিবৃত্ত করেন। কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এসব কর্মকাণ্ড করে থাকেন, তাহলে তিনি অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন এবং নিচের যেকোনো দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারায় অপরাধের দণ্ডের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকার তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারবে। সরকার চাইলে অব্যাহতি দিতে পারবে। অথবা কোনো কর্মচারীর পদের অবনমন বা বেতন কমাতে পারবে।

৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যখন কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য মামলা হবে, তখন নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বিশেষ আদেশবলে তাঁর বিষয়ে অভিযোগ গঠন করবেন। কর্মচারীকে নোটিশের মাধ্যমে অভিযুক্ত করে ৫ দিনের বেশি নয়, ২ দিনের কম নয়—এমন সময়ের মধ্যে কারণ দর্শানোর কথা বলা হবে। ওই কর্মচারী ব্যক্তিগত শুনানিতে ইচ্ছুক কি না, সেটি জানতে চাওয়া হবে।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর অনেক কর্মচারী নিজেদের বঞ্চিত দাবি করে পদোন্নতি চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন। কেউ কেউ দাবি আদায়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ছেন। এতে প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতেই সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করা হচ্ছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি কারণ দর্শানোর পর ব্যক্তিগত শুনানিতে হাজির হলে শুনানি গ্রহণের পর যদি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে, তখন নোটিশের মাধ্যমে প্রস্তাবিত দণ্ড কেন আরোপ করা হবে না—নোটিশ জারির তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হবে। নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কর্মচারী কারণ দর্শালে অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারণ না দর্শালে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ নোটিশে উল্লিখিত দণ্ড অভিযুক্ত কর্মচারীর ওপর আরোপ করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে তদন্ত ছাড়া একজন কর্মচারীকে আট দিনের নোটিশে চাকরিচ্যুত করা যাবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের কোনো উদ্যোগ বা সিদ্ধান্তে যদি একজন কর্মচারী ভিন্নমত পোষণ করেন কিংবা নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন, সেটিকে সরকারের বিরুদ্ধাচরণ বলে চাকরিচ্যুত করার আশঙ্কা থাকবে। এ ভয়ে অনেকে নিজের মত জানাবে না।

কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ উদ্যোগে কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেক কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশাসন ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচের অন্তত ১০ কর্মচারী বলেন, আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ ভালো হচ্ছে না। গত সাড়ে চার দশকে কর্মচারীদের চিন্তায় ও কাজে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সমাজে অনেক মুক্তচিন্তার মানুষ তৈরি হয়েছে। সরকার যত দ্রুত বিচার করবে, তত ক্ষতি বেশি হবে। এ আইনের অপব্যবহার হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা এক জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে যাঁরা ডিসির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তাঁদের চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হয়নি। এ জন্য তাঁদের চাকরি থেকে অবসরে পাঠাতে পারছে না সরকার। সে কারণে সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশের কিছু ধারা নিয়ে আসা হচ্ছে, যাতে সরকারি চাকরিতে ২৫ বছর পূর্ণ না হলেও কোনো একটি কারণ দেখিয়ে তাঁদের চাকরিচ্যুত করা যাবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সরকারি চাকরিতে কারও ২৫ বছর পূর্ণ হলে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে পারেন। সরকারও চাইলে তাঁকে অবসরে পাঠাতে পারে। সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৪৫ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কারণ দর্শানো ছাড়া তাঁকে অবসরে পাঠাতে পারবে।

আইনটি পাস হলে সরকারি চাকরিতে ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে নোটিশ দিয়ে কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ আইন মানেই হচ্ছে কালো আইন। ১৯৭৯ সালে তৎকালীন সামরিক শাসনামলেও একই উদ্দেশে অধ্যাদেশটি করা হয়েছিল। ঢালাওভাবে কর্মচারীদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া প্রশাসনে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। একজন কর্মচারীকে অবশ্যই আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশের ৮২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজি), ১৩ জন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), অর্ধশতাধিক অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ১৫ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁদের অনেকের চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হয়নি। এ জন্য তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাচ্ছে না। আবার ৫ আগস্টের পর পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ১৮০ জন কর্মচারী এখনো কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাঁদের অনেকে কর্তৃপক্ষ থেকে ছুটি নেননি। তাঁদের বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।

সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে সেখানে ১৯৭৯ সালের অধ্যাদেশের কিছু ধারা সংযোজন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়, দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকা পুলিশ কর্মচারীদের সরকার বসে বসে বেতন দেবে?

আইনটি পাস হলে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশের অনেক সদস্য চাকরিচ্যুত হবেন।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওএসডি হওয়া বিসিএস ২৪তম ব্যাচের পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, চাকরি থাকবে নাকি চলে যাবে, এ বিষয়ে তিনি এখন ভাবছেন না।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকারি চাকরিজীবীদের বড় একটা অংশ একের পর এক দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করে। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ-আন্দোলন করায় ঢাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। সরকারি কাজে ব্যাঘাত ঘটে। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অনেক কর্মচারী ডিসি হওয়ার দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিক্ষোভ করেছেন, হট্টগোল করেছেন।

‘আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ নামে ২৫ ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপসচিব পদে কোটাপদ্ধতি বাতিল, নিজ নিজ ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে সচিব পদে দায়িত্ব দেওয়া এবং সব ক্যাডার কর্মকর্তাদের সমান অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছে। আইনটি পাস হলে তাঁদের আন্দোলন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, যারা ফ্যাসিস্ট, তারা মানুষের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করে। বর্তমান সরকার তো ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে দায়িত্ব নিয়েছে। তাহলে তারা কর্মচারীদের মুখ বন্ধ রাখতে চায় কেন?

মফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘আইনটি পাস হলে ভালো হবে না। কোনো সরকারি কর্মচারীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা প্রশাসনে ভালো বার্তা দেয় না।’

আইনের অপব্যবহার করা যাবে না

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর অনেক কর্মচারী নিজেদের বঞ্চিত দাবি করে পদোন্নতি চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন। কেউ কেউ দাবি আদায়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ছেন। এতে প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতেই সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করা হচ্ছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার কর্মচারীদের বার্তা দিতে চায় যে কোনো ধরনের আন্দোলন করা যাবে না। আন্দোলন করতে কাউকে উসকানিও দেওয়া যাবে না।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সংশোধিত আইনটির অপব্যবহার হতে পারে। অনেক নির্দোষ কর্মচারী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তিনি আরও বলেন, অনিবার্য কারণে যদি সরকার আইনটি সংশোধন করতে চায়, তাহলে তাদের এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে আইনের অপব্যবহার হবে না।


তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষে চাইলেন তারেক রহমান

তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষে চাইলেন তারেক রহমান

বাহা'কে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের লাল কার্ড প্রদর্শন

বাহা'কে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের লাল কার্ড প্রদর্শন

সংসার ও স্বপ্নের ভার কাঁধে নিয়ে চা-কফি বিক্রি করে এগিয়ে চলেছে কলেজ ছাত্র উজ্জ্বল

সংসার ও স্বপ্নের ভার কাঁধে নিয়ে চা-কফি বিক্রি করে এগিয়ে চলেছে কলেজ ছাত্র উজ্জ্বল

জামালপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু

জামালপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু

বেরোবিতে দেয়ালে 'জয় বাংলা লেখা', অর্ধ মাসেও জমা পড়েনি প্রতিবেদন

বেরোবিতে দেয়ালে 'জয় বাংলা লেখা',  অর্ধ মাসেও জমা পড়েনি প্রতিবেদন

জীবননগরে নদীতে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু

জীবননগরে নদীতে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু

যে সন্তানের জন্য দুধ বানাতে চুলা ধরালেন মা, দগ্ধ হয়ে সে সন্তানের মৃত্যু

যে সন্তানের জন্য দুধ বানাতে চুলা ধরালেন মা, দগ্ধ হয়ে সে সন্তানের মৃত্যু

শহীদ মিনারে সমাবেশ ঘিরে এনসিপি নেতা সারজিস আলমের দিকনির্দেশনা

শহীদ মিনারে সমাবেশ ঘিরে এনসিপি নেতা সারজিস আলমের দিকনির্দেশনা

নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৫-এর উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ ২০২৫-এর উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে, তবে গণতন্ত্র এখনও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি: নজরুল ইসলাম খান

গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে, তবে গণতন্ত্র এখনও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি: নজরুল ইসলাম খান

মহেশপুরে মানহানির অভিযোগ এনে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা সমন্বয়কের

মহেশপুরে মানহানির অভিযোগ এনে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা সমন্বয়কের

কালীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষক দম্পতিকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

কালীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষক দম্পতিকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

রাবি'র প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাসেলকে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

রাবি'র প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাসেলকে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

বাংলাদেশে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ: একটি নীরব মানসিক রোগের রূপ

বাংলাদেশে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ: একটি নীরব মানসিক রোগের রূপ

নিবন্ধনের ঘাটতি পূরণে নির্বাচন কমিশনে এনসিপির প্রতিনিধি দল

নিবন্ধনের ঘাটতি পূরণে নির্বাচন কমিশনে এনসিপির প্রতিনিধি দল

“নবারুণ প্রিমিয়ার লিগ” সিজন-৬ এর ট্রফি উন্মোচন

“নবারুণ প্রিমিয়ার লিগ” সিজন-৬ এর ট্রফি উন্মোচন

লাল সবুজের পতাকা উড়লো গ্রেট ওয়ালে: শেরপুরের সেলিমের জয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ

লাল সবুজের পতাকা উড়লো গ্রেট ওয়ালে: শেরপুরের সেলিমের জয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ

আপন দুই ভাইসহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বৃদ্ধা নিহত

আপন দুই ভাইসহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বৃদ্ধা নিহত

ধর্ষণ নয়, ষড়যন্ত্র: ছেলের নির্দোষ প্রমাণে সংবাদ সম্মেলন মায়ের

ধর্ষণ নয়, ষড়যন্ত্র: ছেলের নির্দোষ প্রমাণে সংবাদ সম্মেলন মায়ের

ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারিভাবে পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা হবে

ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারিভাবে পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা হবে

ইউপি সদস্যর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চাচির অনশন

ইউপি সদস্যর বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চাচির অনশন

বটি দিয়ে কুপিয়ে দুই সন্তানকে হ*ত্যা করেন মা

বটি দিয়ে কুপিয়ে দুই সন্তানকে হ*ত্যা করেন মা

সাভার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি (সুজ) এর ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে

সাভার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি (সুজ) এর ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে

বিএনপিকে ল্যাং মারতে যেয়ে নিজেদের ঠ্যাং না ভেঙ্গে যায়, প্রিন্স

বিএনপিকে ল্যাং মারতে যেয়ে নিজেদের ঠ্যাং না ভেঙ্গে যায়, প্রিন্স

আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় প্রাণ গেলো রোজাদার নারীর

আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় প্রাণ গেলো রোজাদার নারীর

নোয়াখালীতে কৃষককে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

নোয়াখালীতে কৃষককে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

দু'শ টাকার জন্য বন্ধুদের হাতে বন্ধু খুন, পুলিশের উপস্থিতিতে আসামীপক্ষের ধান বিক্রি

দু'শ টাকার জন্য বন্ধুদের হাতে বন্ধু খুন, পুলিশের উপস্থিতিতে আসামীপক্ষের ধান বিক্রি

বকশীগঞ্জে মসজিদের জমি দখল ও কবরস্থানের জমি বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বকশীগঞ্জে মসজিদের জমি দখল ও কবরস্থানের জমি বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শিশু বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলো পিতা, শিশু ছিনতাইকারী বলে বেধড়ক পেটালো জনতা

শিশু বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলো পিতা, শিশু ছিনতাইকারী বলে বেধড়ক পেটালো জনতা

বে টার্মিনালে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান

বে টার্মিনালে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে : বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান

সব খবর