দেশকে নির্বাচনের ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনাই এখন সবচেয়ে জরুরি: মির্জা ফখরুল

দেশকে যত দ্রুত সম্ভব সঠিক ও নির্বাচনের ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে হবে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার মতে, এটি না হলে গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার এবং দেশের ভবিষ্যৎ আরও সংকটের মুখে পড়বে। বুধবার (৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ও অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা বিএনপির। একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় ও পরে সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার পেছনে বিএনপির ঐতিহাসিক অবদান রয়েছে। তাই বিএনপিকে নিয়ে গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা অনুচিত।
তিনি বলেন, যারা মনে করে দেশে নির্বাচন প্রয়োজন নেই, তাদের এই ধারণা পর্যালোচনা করা দরকার। কারণ, জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার ছাড়া একটি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো কখনোই টেকসই হতে পারে না। এজন্যই বিএনপি গঠনমূলক সংস্কারে বিশ্বাস করে এবং এই প্রক্রিয়াতেও অংশ নিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিরোধী দল, বিশেষ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নিজে ১১২টি মামলার আসামি এবং ১৩ বার কারাভোগ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে বলেন, হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির জন্য তিনি দায়ী। তার নেতৃত্বেই দেশে গণহত্যা ও দমন-পীড়নের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার দাবি করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং অতীতের অন্যায়-নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত করতে হলে শুধু ব্যক্তির নয়, দলগতভাবে যারা এসব অপকর্মে জড়িত ছিলেন, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের উচিত গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসা এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা। আর তা যত দ্রুত হবে, ততই দেশের জন্য মঙ্গল।