ছত্রিশ জুলাই: এক বছরের মাথায় ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

এক বছরের মাথায় ফিরে এলো সেই দিন—যে দিনে কোটি কণ্ঠে একসঙ্গে ধ্বনিত হয়েছিল:
“শোন মহাজন... আমরা অনেকজন।”
ছত্রিশ জুলাই ছিলো ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তির অভূতপূর্ব জনজাগরণের দিন। আজ সেই বিজয়ের প্রথম বার্ষিকী। এই দিনটিকে ঘিরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন চলছে।
আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’, যা আজ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঘোষণাপত্র পাঠ শুরু হবে বিকেল ৫:০০টায় (5:00 PM)।
আজকের উল্লেখযোগ্য আয়োজনগুলো (১২ ঘণ্টা ফরম্যাটে):
১১:০০এএম – ৪:৪৫ পিএম: বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সংগীত পরিবেশনা
২:২৫ পিএম: ‘ফ্যাসিস্টের পলায়ন’ উদযাপন
৫:০০ পিএম: ড. ইউনূসের কণ্ঠে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ
৭:৩০ পিএম: স্পেশাল ড্রোন শো
৮:০০ পিএম: জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল-এর পরিবেশনা
ড. ইউনূস তার ঘোষণাপত্রে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরবেন বলে আয়োজক সূত্রে জানা গেছে। এবারের ঘোষণাপত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ, বিচারিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি ও নাগরিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার স্থান পাবে।
প্রথমবারের মতো উদযাপিত হচ্ছে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস'
সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পালিত হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। এটি শুধুমাত্র একটি তারিখ নয়—একটি প্রজন্মের স্বপ্ন, আত্মত্যাগ এবং সম্ভাবনার দিন।