“সব বিষয়ে একমত হওয়ার কথা নয়, তবে ঐকমত্যের চেষ্টা চলবে”— সংলাপের শুরুতে বললেন আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, "সব বিষয়ে একমত হওয়ার কথা নয়, হবও না; তবে যেসব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব, সেগুলোতে ঐকমত্যের ভিত্তি তৈরির চেষ্টাই আমাদের লক্ষ্য।"
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
"আমি বারবার বলেছি— কমিশন কাউকে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। দলগুলোর সঙ্গে আলাদা বৈঠকের সময়ও এ কথা সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছি,"— বলেন অধ্যাপক রীয়াজ।
তিনি বলেন, “সব বিষয়েই যে একমত হতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই, যাতে যেখানে সম্ভব ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়।”
সোমবারের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে:
উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ
জরুরি অবস্থা ঘোষণা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া
রাজনীতিতে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর কৌশল
অধ্যাপক রীয়াজ জানান, “কিছু নতুন প্রস্তাব আজ প্রথমবারের মতো উপস্থাপন করা হবে। কিছু বিষয়ে ইতিমধ্যে অগ্রগতি হয়েছে, আবার কিছু বিষয় এখনো উপস্থাপন করিনি।”
সাবেক কিছু প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তির প্রেক্ষিতে সেগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
"সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ নিয়ে আপত্তির কারণে তা সংশোধিত প্রস্তাবে রাখা হয়নি। একইভাবে চার প্রদেশে ভাগের প্রস্তাবও দলগুলোর দ্বিমতের কারণে উপস্থাপন করা হয়নি," বলেন আলী রীয়াজ।
তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর আবেগ, বক্তব্য এবং বাস্তবতা বিবেচনায় সংশোধিত প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে।
“আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা বিভ্রান্তি না হয়,” বলেন তিনি।
সংলাপ চলাকালে রাজনৈতিক দলগুলোর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, “আপনাদের কর্মসূচি কিছুটা অসুবিধা তৈরি করলেও আমরা আশাবাদী যে, আলোচনার জায়গায় এসে ঐক্যমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। সময়ের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেটাও নিশ্চয়ই আপনারা বিবেচনায় রাখবেন।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যবৃন্দ— ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন এবং ড. আইয়ুব মিয়া।