২৯৭ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির মামলায় অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত কারাগারে

অ্যাননটেক্স কোম্পানির ২৯৭ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির মামলায় অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১১ জুলাই) এ আদেশ দেন।
দুপুরে আবুল বারকাতকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে তিনি এজলাসে তোলা হয় এবং আদালতের বেঞ্চে বসানো হয়। এসময় তার স্ত্রী ও অন্যান্য স্বজনেরা পাশে ছিলেন। মাঝেমধ্যে তিনি নাতিকে কোলে নিয়ে ছিলেন এবং উপস্থিত অন্যদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন।
বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। দুদকের প্রসিকিউটর রেজাউল করিম আদালতকে জানান, ২৯৭ কোটি টাকার এজালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন। রিমান্ড মঞ্জুর করার প্রার্থনা জানান।
অপরদিকে, আবুল বারকাতের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল আউয়াল রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন এবং ডিভিশন চেয়ে আবেদন জানান।
তবে দুদকের প্রসিকিউটর জানান, এ ধরনের মামলায় জামিন বা রিমান্ড শুনানি এই আদালতের এখতিয়ারভুক্ত নয়, তা মেট্রো সেশন স্পেশাল জজ কোর্টে হতে পারে। বিচারক এ নিয়ে প্রশ্ন করলে দুদকের আইনজীবী কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
এরপর আদালত আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থেকে আবুল বারকাতকে গ্রেফতার করে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, গ্রেফতারের পর তাকে মিন্টোরোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জনতা ব্যাংকে অ্যাননটেক্সের ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক মামলা করে। সেই মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আবুল বারকাতকে আসামি করা হয়। তিনি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর থেকে আওয়ামী লীগসহ ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সমর্থকরা রাজনৈতিক অস্থিরতায় পড়েছেন।