মুক্তাগাছায় শ্বাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যা: জামাতার স্বীকারোক্তি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শ্বাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় জামাতা মনির হোসেন (২৫)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারের পর আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।পিবিআই সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার (৪ মে) বিকেলে ময়মনসিংহ পিবিআই কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার মনির হোসেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের মো. সেলিমের পালক ছেলে। নিহত ফজিলা বেগম একই এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পিবিআই জানায়, গত ১ মে রাত আনুমানিক ২টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে মনির হোসেন তার শ্বশুরবাড়িতে এসে ঘুমন্ত স্ত্রী রুনা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করেন। স্ত্রীর চিৎকারে তার মা ফজিলা বেগম ঘরে এসে বাধা দিলে, মনির তার পেটে ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যান পরবর্তীতে স্থানীয়রা মা-মেয়েকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, সেখান থেকে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসক সেখানে ফজিলা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত রুনা আক্তার এখনও চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর নিহতের মেয়ে তাসলিমা আক্তার মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পিবিআই মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতে সোপর্দ করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন মনির, আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ময়মনসিংহ জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন,হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামি পলাতক ছিল। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে স্বীকারোক্তির পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।