৬ ঘণ্টা ঘুম নয়, সুস্থ জীবনের জন্য দরকার অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম

ব্যস্ত জীবনের চাপে ঘুমের সময় ক্রমেই কমে যাচ্ছে অনেকের। কেউ কেউ মনে করেন ৪-৫ ঘণ্টা ঘুমালেই চলে। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। এর কম ঘুম স্নায়ুবিক ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে, বাড়াতে পারে মানসিক চাপ, কমিয়ে দিতে পারে কর্মক্ষমতা।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল ও ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের এক যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের জন্য প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম অত্যাবশ্যক। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রেও এই একই ঘুমের মাত্রা সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইতালির একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ৮ ঘণ্টার কম কিংবা ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমের সঙ্গে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে।
কম ঘুমে কী কী ক্ষতি হয়?
১. মনোযোগে ঘাটতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা
২. কর্মক্ষমতা হ্রাস ও মানসিক অবসাদ
৩. হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
৪. স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়া
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া
৬. হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া
কম ঘুমে পুরুষদের জন্য বাড়তি সতর্কতা
সম্প্রতি জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে, কম ঘুম পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস করতে পারে, যা পরবর্তীতে পুরুষত্বহীনতার ঝুঁকি বাড়ায়।
গভীর ঘুম শরীরের পুনর্গঠন, মস্তিষ্কের বিশ্রাম এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক শান্তি বাড়ায় এবং মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।
সুতরাং, সুস্থ জীবন, কর্মক্ষমতা এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য ৬ ঘণ্টা ঘুম নয়— নিয়মিত কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা গাঢ় ঘুমই জরুরি। শরীর আর মনকে বিশ্রাম দিন, প্রতিদিন সময়মতো ঘুমাতে যান।