ইসরায়েলের বেন গুরিয়নে হুতিদের মিসাইল হামলা, ফ্লাইট স্থগিত
ইসরায়েলের তেল আবিবে অবস্থিত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি হুতি বিদ্রোহীরা। এই হামলায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। হামলার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের সকল ফ্লাইট স্থগিত করা হয়, তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ফের ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে জানা যায়, রোববার সকালে দেশটির মধ্যাঞ্চলে হঠাৎই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে। কিছুক্ষণ পর ইয়েমেন থেকে ছোড়া বেশ কয়েকটি মিসাইলের একটি সরাসরি বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে আঘাত হানে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের ওয়াচ টাওয়ারের পাশের ফাঁকা স্থানে বিস্ফোরণ ঘটেছে। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও মাটির ঢেলা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমাদের কেউ আঘাত করলে তা সাতগুণ শক্তিতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, হুতিদের সামরিক শাখার মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারিই হুঁশিয়ার করে বলেন, “ইসরায়েলি বিমানবন্দর আর বিমানযাত্রার জন্য নিরাপদ নয়।” হামলার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) স্বীকার করেছে যে তারা ইয়েমেনি ব্যালিস্টিক মিসাইলটি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এরইমধ্যে এ ব্যর্থতা তদন্তে নেমেছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এই হামলায় হুতিরা সত্যিই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে থাকে, তবে তা শুধু ইসরায়েলের জন্য নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা চিত্র পাল্টে দেবে।
প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে হুতিরা ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ইসরায়েল এবং তাদের মিত্রদের লক্ষ্য করে সমুদ্র ও আকাশপথে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে আসছে। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলও ইয়েমেনে নিয়মিত বিমান হামলা চালাচ্ছে।