চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দু’জনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই)) চট্টগ্রামের বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে রক্তের নমুনা পরীক্ষায় এ রোগ শনাক্ত করা হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে পরীক্ষায় সোমবার রাতে দু’জনের শরীরে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি আমরা।’
জানা গেছে, যে দু’জনের শরীরে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে তারা হলেন-মো. জাবেদ (৪২) ও রিফাত আরা (৪২)। চট্টগ্রামের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ওয়ালিউল্লাহ ও মো. নুরুন্নবী তাদের ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে রোগী দু’জনকে পরীক্ষার জন্য এপিক হেলথ কেয়ারে পাঠান। সেখানে সোমবার রাতে রিপোর্টে জিকার অস্তিত্ব মেলে। পরে বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়।
ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, বেসরকারি একটি ল্যাবে রোগীটির রক্তে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্বের প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে এটি একটি কম্বাইন কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল, যা একাধিক ভাইরাস শনাক্তে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে আরও কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি আমরা ইতোমধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইডিসিআর)-কে জানিয়ে দিয়েছি। পরবর্তী পরীক্ষার ফলাফল ও সিদ্ধান্ত আইডিসিআরের দিকনির্দেশনার ওপর নির্ভর করছে।
চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত পুরুষের জ্বর, শরীর ব্যথা ও শরীর লালচে হওয়া এবং আক্রান্ত নারীর জ্বর, হাত-পা ব্যথা ও ফুলে যাওয়া উপসর্গ রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, জিকায় ডেঙ্গুর মতো জীবনঝুঁকি নেই। তবে গর্ভবতী নারীদের অনাগত শিশু অপরিপূর্ণ হয়। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা- তিনটিই এডিস মশার কামড়ে হয় বলে ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার জানান।