সড়কের জায়গা দখল করে নির্মিত ১৫ টি স্থাপনা উচ্ছেদ

শরীয়তপুর জেলা শহরের মূল সড়কের পাশে সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠা ১৫ টি স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে সড়ক বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। সোমবার (১৯ মে) সকাল থেকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সড়কের জায়গায় গড়ে উঠা বাকি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ধারাবাহিকভাবে এ অভিযান চলমান রাখার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
জেলা সড়ক বিভাগসূত্রে জানাগেছে, শহরের ধানুকা হতে পালং উত্তর বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি ৬০ থেকে ৭০ ফুট প্রসস্থ জমি অধিগ্রহণ করে চব্বিশ ফুট সড়ক নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে অধিগ্রহণ করা বাকি জমির দখল হয়ে গেছে অন্তত ৮৭ শতাংশ। সড়কের পাশের এসকল জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অন্তত ১৪৬টি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর চলাচলের জায়গা দখল হওয়ায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার পথচারীরা। পরে তালিকা তৈরি করে একাধিকবার দখলদারদের সরে যেতে সড়ক বিভাগ থেকে নোটিশ দেয়া হলেও তারা সরে যায়নি। পরে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সোমবার সকাল থেকে ধানুকা স্টেডিয়াম এলাকা থেকে কোর্টের মোড় এলাকার অন্তত ১৫ টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয় জেলার সড়ক বিভাগ। এতে খুশি স্থানীয় ও এই পথে চলাচলকারী পথচারীরা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহবায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো তৈরি করা হয়েছিলো। সড়ক বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে যেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে আমরা সাধুবাদ জানাই। অতি দ্রুত সড়কের জায়গা ফিরিয়ে এনে ডিভাইডার বসিয়ে দুই লেনের সড়ক নির্মাণ ও শহরবাসীর জন্য ফুটপাত তৈরি করার জোর দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে জেলার সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাসেল বলেন, আজ (সোমবার) আমরা ১৫ টি অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। ১৪৬ টি অবৈধ স্থাপনার সবগুলোই পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। কিছু জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তি শেষে সেগুলোও ফিরিয়ে আনা হবে। উচ্ছেদ শেষে এই জায়গাগুলো যাতে পুনরায় দখল না হয় সেব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আইয়ূবী বলেন, সড়ক বিভাগের জায়গা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় আমরা জেলা প্রশাসন থেকে তাদের সহযোগিতা করছি। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা হবে। আমরা সব সময় তাদের আইনগত সহযোগিতা করবো।