কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক রাতে গোয়ালঘর থেকে ৩ গরু চুরি, আতঙ্কে খামারিরা

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় গরু চুরির ঘটনা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। সর্বশেষ গত রবিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকায় একটি গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি হয়েছে। ঘটনাটি আবারও স্থানীয়দের মাঝে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে। ভুক্তভোগী জাকের হোছাইন চৌধুরীর বাড়ির গোয়ালঘরে গভীর রাতে চোরের দল হানা দেয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে একটি সবুজ রঙের মিনি পিকআপযোগে চোরেরা আসে এবং রাত তিনটার দিকে তিনটি গরু নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। চুরি হওয়া গরুগুলোর বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পেকুয়া উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুজিবুল হক চৌধুরী জানান, "আমার চাচা জাকের হোছাইনের খামার থেকে গরুগুলো চুরি হয়েছে। গোটা এলাকা কৃষিনির্ভর এবং প্রায় প্রতিটি পরিবার গবাদি পশু পালন করে। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক চুরির ঘটনায় সবাই আতঙ্কিত।"
এ বিষয়ে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এম. শাহনেওয়াজ আজাদ বলেন, “ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা স্থানীয়ভাবে অবগত আছি এবং ভুক্তভোগী পরিবার আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত চলছে। দোষীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগেও চলতি বছরের ২ মার্চ রাতে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা এলাকায় চট্টগ্রামের চকবাজার থানার ওসি জাহেদুল কবিরের গ্রামের বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৩টি গরু লুট করে নেয় ডাকাতরা। ১৩ এপ্রিল টইটং ইউনিয়নের বটতলী এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের খামার থেকেও ২টি গাভী চুরি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পেকুয়ায় গরু চুরি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় চোরচক্র দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা অবিলম্বে রাত্রিকালীন টহল ও সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।